Sunday, June 28, 2015

Finally Kaliakoir Hi-Tech Park


উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ছবি

মূল গেইট

আউট লুক

মূল ডিজাইন


বাংলাদেশে হাই-টেক পার্ক শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ।

এক নজরে হাইটেক পার্ক

অবশেষে উদ্যোগগ্রহণের ১৫ বছর পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে হাইটেক পার্ক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাভুক্ত পার্কটি হবে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। সেখানে হাইটেক পার্ককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে সফটওয়্যার ও হার্ডঅয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকলসেন্টার এবং টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। এখানে তৈরি হবে বিশ্বমানের পণ্য। দেশীয় সফটওয়্যার দিয়েই চলবে ব্যাংকবিমাকলকারখানা,অফিস-আদালত।
চুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্কের ২ এবং ৫ নং ব্লকে ডেভেলপার নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের। আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা জানানবাংলাদেশের সামিট গ্রুপ এবং ভারতের ইনফিনিটির যৌথ কনসোর্টিয়াম সামিট টেকনোপলিস মূলত দুটি ব্লকে ভবন তৈরির কাজ করবে। আগামী ৪০ বছর তাদের ব্যবস্থাপনায় এই দুটি ব্লকে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে জায়গা বরাদ্দ সংক্রান্ত কাজ পরিচালিত হবে সামিট টেকনোপলিসর অধীনে। হাইটেক পার্কের আরও দুটি ব্লকের কাজ করবে মালয়েশিয়ান একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের সঙ্গেও শিগগিরই চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
চুক্তি অনুয়ায়ী সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরুর কথা থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক চুক্তির পর পরই এসআইএমসিএল-ইনফিনিটিকে নির্মাণকাজ শুরু করতে বলেছেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এই হাইটেক পার্কের ২ এবং ৫ নম্বর ব্লকের অবকাঠামো উন্নয়ন করবে এ কনসোর্টিয়াম। পার্কের অবকাঠামো উন্নয়নের পর ৪০ বছর এর ব্যবস্থাপনায় থাকবে এসআইএসসিএল-ইনফিনিটি। প্রতিষ্ঠানটি হাইটেক পার্কের অবকাঠামো উন্নয়নে ১ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। সূত্র জানায়তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। বর্তমান সরকার মতা থাকালীন ১৯৯৯ সালে হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। মাঝখানে বিএনপি সরকার মতায় থাকায় সে উদ্যোগের অগ্রগতি হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এবার এতদিনে একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে।
এর আগে জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের সবচেয়ে বড় এই হাইটেক পার্ক নির্মাণে ১৪ বছর ধরে জমে থাকা নানা জটিলতা মিটিয়ে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরুর উদ্যোগ নেন। ২০১৪ সালের মার্চ-এপ্রিল থেকে প্রতিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় পার্কটির নির্মাণ প্রক্রিয়া এগিয়ে ঠিকাদার অনুমোদন ও চুক্তি স্বাক্ষরের অবস্থায় ঠেকে। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে ভেটিংয়ের অপেক্ষায় বিলম্বিত হচ্ছিল এই নির্মাণ চুক্তি। সাপোর্ট টু ডেভেলপমেন্ট অফ কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের পরিচালক এএনএম সফিকুল ইসলাম টেকশহরডটকমকে জানান,ভেটিংসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবশেষে রোববার চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে।
পার্কটি নির্মাণে সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্চেন্টিয়াল কর্পোরেশন (এসআইএমসিএল) এবং ভারতীয় কোম্পানি ইনফিনিটির যৌথ কনসোর্টিয়াম এসআইএমসিএল-ইনফিনিটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ছিল গত ৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে চুক্তি সম্পাদনের কনসেশন এগ্রিমেন্ট আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হলে তা বিলম্বিত হচ্ছিল। তখন জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেনসত্যিকার অর্থেই কাজটি আমরা শতভাগ বিশুদ্ধতা রেখে করতে চাই। আমাদের হাইটেক পার্কের নিমার্ণ প্রক্রিয়া ও কাজ দেখে বিদেশীরা যাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হয় তার সব ব্যবস্থা আমরা ঠিক রাখতে চাই।
তিনি তখন বলেছিলেনবিনিয়োগকারীদের জন্য আইনগত সুরক্ষাসহ তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করে যেন স্বস্তি অনুভব করে তার জন্য ১২টি বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং প্রয়োজন। নির্মাণ প্রক্রিয়া হতে শুরু করে বিনিয়োগ ও হাইটেক পার্কের পরিচালনা সবকিছুতেই স্বচ্ছতা ও সফলতার উদাহরণ রাখতে চাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। এরপর এপ্রিলে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের ভেতরের রাস্তা উদ্বোধন ও সড়কবাতি নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে পলক জানিয়েছিলেনদুই মাসের মধ্যেই ডেভেলপারদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।
২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি এসআইএমসিএল-ইনফিনিটিকে হাইটেক পার্কের নির্মাণ অনুমোদন দেয়। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এই কনসোর্টিয়ামকে কার্যাদেশ প্রদানের অনুমতির জন্য মন্ত্রিসভার কমিটিতে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিল। এদিকে হাইটেক পার্ক ডেভেলপার ও বিনিয়োগকারীরা বিদ্যুৎ বিল ও জোগানদার সেবার ক্ষেত্রে কর মওকুফ পাচ্ছেন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী এ কর মওকুফের প্রস্তাব করেন। এছাড়া হাইটেক পার্কের ডেভেলপার এবং এ সব অঞ্চল বা পার্কে বিনিয়োগকারীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের উদ্যোগও গ্রহণ করছে সরকার।
প্রসঙ্গত২০১৪ সালের মার্চ-এপ্রিলে নতুন উদ্যমে কাজ শুরুর আগে এই হাইটেক পার্কের নির্মাণে টেকনোলজি পার্ক মালয়েশিয়াকে ঠিকাদার হিসেবে নির্বাচিত করা হলেও তারা কাজ শুরু করতে পারেনি। তখন এ কোম্পানির স্থানীয় অংশীদার ঋণখেলাপি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। কোম্পানিটি আদালতে গেলেও টেকনোলজি পার্ক আর কাজ পায়নি। সে বছর ফেব্রয়ারিতে হাইকোর্ট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালে মার্চে নতুন করে দরপত্র জারি করে হাইকেট পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর নতুন টেন্ডারে কাজ পেতে যে সাতটি কোম্পানি আবেদন করেছিল সেগুলার মধ্যে আগের দফায় কাজ পাওয়া টেকনোলজি পার্ক মালয়েশিয়াও (টিপিএম) ছিল। যৌথভাবে অপর এক মালয়েশিয়ান কোম্পানি ফাইবার এডকমের সঙ্গে কাজ পেতে আবেদন করেছিল তারা। অপর কোম্পানিগুলোর মধ্যে দেশীয় কোম্পানি মীর টেলিকম ও ইউএসএর জীবন টেকনোলজি এককভাবে এবং রেজা কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে যৌথভাবেঅপর দেশীয় কোম্পানি সামিট কমিউনিকেশন এককভাবে এবং ভারতীয় কোম্পানি ইনেফোটেকের সঙ্গে যৌথভাবে প্রস্তাব দিয়েছিল।

এ বিষয়ে হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হোসনে আরা বেগম (এনডিসি) বলেনহাইটের্ক পার্কে ৫টি ব্লকের মধ্যে ২টি ব্লকের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। আর অবশিষ্ট ব্লকের কাজ শুরু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অবশিষ্ট একটি ব্লক থাকবে হাইর্টেক পার্ক অথরিটির প্রশাসনিক কাজের জন্য। তিনি বলেনহাইটেক পার্ক নির্মাণ হলে দেশেই তৈরি হবে নিত্যব্যবহার্য প্রযুক্তি পণ্য। দেশের নির্মিত সফটওয়্যার দিয়েই চলবে ব্যাংকবিমাকলকারখানাঅফিস-আদালত। স্বপ্নটা ছিল এমনই। যা এখন বাস্তব হতে যাচ্ছে। আর এর শুরুটা হয়েছিল সেই ১৯৯৯ সালে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিনিয়োগ বোর্ডের ১২তম বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত হয় দেশে একটি হাইটেক পার্ক স্থাপনের। এরও অনেক আগ থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে দেশ বিশেষ একটি জায়গায় রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে আসছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিনিয়োগকারীরা। তিনি বলেন,আর এসব সুবিধায় হাইটেক পার্ক কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে সফটওয়্যার ও হার্ডঅয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। গড়ে উঠবে কলসেন্টারটেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। এখানেই তৈরি হবে বিশ্বমানের পণ্য। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ। কমবে মেধা পাচার। এই স্বপ্ন নিয়েই শুরু হচ্ছে হাইটেক পার্কের পথচলা বলে তিনি জানান।

Thursday, June 25, 2015

বিশ্বের লম্বা ও খাটো রোজা যে যে দেশে

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের রোজা দিতে হচ্ছে উত্তর ইউরোপের একটি দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ডে। আইসল্যান্ডে এবার সেহরি খেতে হচ্ছে রাত দু’টোয় আর ইফতার হয় পরের দিন রাত ১২ টায় ৷ সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার ব্যবধান। আর সবচেয়ে অল্প সময়ের রোজা হচ্ছে চিলিতে। সেখানে বৃহস্পতিবার রোজার সময় ছিল মাত্র ৯ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট। বাংলাদেশে প্রথম রোজার সময় ছিল ১৫ ঘণ্টা ০৪ মিনিট।
আত্মশুদ্ধির বার্তা নিয়ে দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান মাস। প্রতিটি মুসলমানের অন্তদর্শন আর আত্মার পরিশুদ্ধতার মাস এই রমজান। কিন্তু সেই রোজাই কারো কারো জন্য হয়ে ওঠে অপেক্ষাকৃত কঠিন, কারো জন্য অনেক সহজ। রোজা পালন সে তো সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে। সূর্যোদয়ের আগেই খেয়ে নিতে হবে সেহরি। আর ইফতার করতে হবে সূর্যাস্তের পর। এর মাঝে নেই কোনও খাদ্য গ্রহণের সুযোগ। কোনো কোনো দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতারের দু’ঘণ্টা পরই সেহরি খেতে হয় ৷ অর্থাৎ তাঁদের জন্য রোজা ২২ ঘণ্টার ৷ অকল্পনীয় মনে হলেও এটাই বাস্তব!
বিশ্বজুড়ে কেমন হবে এবারের রোজা? প্রকৃতির খেয়ালে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে বিশ্বের নানা দেশে রোজার সময় কম-বেশি হয়। বিশ্বের কোথায় কোন ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছেন তার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় এই সময়। এতে তৈরি হয় সময়ের হেরফেরও। বিশ্বের কোথাও সেই সময় ২২ ঘণ্টা আবার কোথাও ১০ ঘণ্টারও কম।
বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ১৮ জুন প্রথম রমজান। ওই দিন আইসল্যান্ডে এবার দিনের আলো ২২ ঘণ্টার। এখানকার মুসলিমরা সর্বোচ্চ কষ্টসাধ্যের রোজা রাখবেন। ইসলামের এই বিশ্বাসকে অটুট রাখতে তারা লড়বেন এক দুঃসহনীয় ক্ষুধার জ্বালার বিরুদ্ধে। আর দিনের আলো সবচেয়ে কম সময় ধরে থাকবে চিলিতে। এখানে ১৮ জুন মোট রোজার সময় ৯ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট। বাংলাদেশে প্রথম রোজার সময় হবে ১৫ ঘণ্টা ০৪ মিনিট।
আইসল্যান্ডে ২২ ঘণ্টার রোজা: উত্তর ইউরোপের একটি দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ড। এর মোট জনসংখ্যা ৩,২৩,০০২ জন। এরমধ্যে মাত্র ৭৭০ জন মুসলমান ৷ তবে এই ৭৭০ জনের মধ্যে যাঁরা পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনা করেন, তাঁরা এক দিক থেকে বিশ্বের আর সমস্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে ছাড়িয়ে যান ৷
সুইডেনে ২০ ঘন্টার রোজা: খুব গরমের মধ্যে রোজা হলে সুইডেনের মুসলমানদেরও কষ্টের সীমা থাকে না। দেশটির ৫ লাখ মুসলমানের মধ্যে যাঁরা রোজা রাখেন, তাঁদের ইফতারের মাত্র চার ঘণ্টা পরই সেহরি খেতে হয় ৷ উল্টো দিক থেকে ভাবলে কষ্টটা বুঝা যায় ৷ সুইডেনের মুসলমানদের অনেক দিন সেহরির ২০ ঘণ্টা পর ইফতার খেতে হয় ৷
আলাস্কায় ১৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের রোজা: যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ৩ হাজার মুসলমানের মধ্যে কেউ কেউ আজকাল সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে সেহরি আর ইফতার করতে শুরু করেছেন ৷ গ্রীষ্মকালে ভীষণ গরম থাকে সেখানে ৷ তার ওপর কোনো কোনোদিন সূর্যোদয়ের ১৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সূর্য ডোবে ৷ একেতো তীব্র গরম, তার উপর এত লম্বা সময় ধরে রোজা রাখা।
জার্মানিতে ১৯ ঘণ্টার রোজা: রমজান মাসের এই সময়ে দিন খুব বড় বলে জার্মানির মুসলমানদেরও রোজা রাখতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ৷ এ বছর জার্মানিতে সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সেহরি খেতে হচ্ছে রাত সাড়ে তিনটায় আর ইফতার রাত দশটায় ৷
ইংল্যান্ডে ১৮ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের রোজা: ইংল্যান্ডে সেহরি থেকে ইফতারের সময়ের পার্থক্য ১৮ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৷ রমজান শুরুর আগেই তাই মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেন নামের একটি সংগঠন এত দীর্ঘ সময়ের রোজা রাখার আগে ভেবে দেখতে বলেছে ৷ সংগঠনটির আশঙ্কা, এত লম্বা সময় রোজা রাখলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন ৷ বিশেষ করে ডায়বেটিসে আক্রান্তদের প্রাণহানির শঙ্কাও দেখা দিতে পারে ৷ ব্রিটেনে এখন প্রায় ২৭ লক্ষ মুসলমান আছে ৷ এর মধ্যে ৩ লক্ষ ২৫ হাজারই ডায়বেটিসে আক্রান্ত।
কানাডায় ১৭ঘন্টা ৭মিনিটের রোজা: এখন প্রায় ১০ লক্ষ মুসলমান আছে ক্যানাডায় ৷ সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস টরন্টোতে ৷ এবার কোনো কোনো দিন সেহরির প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর ইফতারি খেতে হবে তাঁদের ৷
তুরস্কে সাড়ে ১৭ ঘণ্টার রোজা: মুসলিম প্রধান দেশ তুরস্কেও গরমকালে রোজা রাখতে হয় খুব কষ্ট করে ৷ এবার সেহরির প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর ইফতার করতে হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ৷

Wednesday, June 24, 2015

টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত মাশরাফির




টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত মাশরাফির
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কিছুক্ষণ পরই শুরু হবে ম্যাচটি।
সফরকারী ভারতের বিপক্ষে এরই মধ্যে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ তে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এবার বাংলাওয়াশের জন্য ভারতের বিপক্ষে খেলছে স্বাগতিকরা। এ বছর দারুণ ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ সফরে এসে বাংলাওয়াশ হযেছে জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তান। আগের দুদলের মতো ভারত বাংলাওয়াশ হলে ঘরের মাটিতে টানা ৩টি দলকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ নেবে মাশরাফিরা। সিরিজে ভারতের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নতুন সেনশেসন বোলার মুস্তাফিজ রহমান। তার বোলিংয়ের সামনেই কুপোকাত হচ্ছে ভারত। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৬ উইকেট।


Tuesday, June 9, 2015

Beautiful Bangladesh




"Sikkim Fobia"- in mind of bangladeshi


বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে "সিকিমফোবিয়া"




সিকিমের ঘটনা বাংলাদেশেও ঘটতে পারে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রতিরক্ষা ভারত দিনের পর দিন জোরদার করায় এই আশঙ্কা আরো জোরালো হচ্ছে। এই কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশের সাথে যুক্ত সীমান্ত আউট পোস্টগুলোর (বিওপি) একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৪-৫ কিলোমিটারে নিয়ে আসা হচ্ছে। এগুলোতে বিএসএফের শক্তিও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
বিএসএফ এই সীমান্তে থারমাল নাইটভিশন ডিভাইস, টেলিস্কোপিক বন্দুকসহ উচ্চমানের হাতিয়ার মোতায়েন রেখেছে। সেই সাথে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার এলাকাকে কাঁটাতারের বেড়াসহ ফ্লাডলাইটের আওতায় আনার এবং প্রশিক্ষিত কুকুর মোতায়েন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনেকটা এগিয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের বেশির ভাগ এলাকা ফ্লাডলাইটের আওতায় আনা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
১৯৭৪ সালের ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো প্রতিরক্ষা কাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ হলেও ভারত মানছে না। বলাবাহুল্য, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও সড়ক তৈরি প্রতিরক্ষা কাজের মধ্যেই পড়ে। বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত দুই দেশের বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হলেও তা কোনো ফল দেয়নি। ভারতের বর্তমান প্রস্তুতি অনুযায়ী সীমান্ত সড়ক দিয়ে অনায়াসে সামরিক যান চলাচল করতে পারবে। এর ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভারত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার করতে পারবে।
এ কারণেই বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে ‘সিকিমফোবিয়া’ কাজ করছে প্রবলভাবে। ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাসের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশও সিকিমের পরিণতি বরণ করে কি না।

Friday, June 5, 2015

Prof. Muhammad Yunus

চাকরিই আধুনিক দাসত্ব: অধ্যাপক ইউনুস

Common_Yunus
চাকরিই আধুনিক দাসত্ব: অধ্যাপক ইউনুস
ক্যাম্পাস রিপোর্টার: বর্তমান তরুণ প্রজন্ম চাকরি খোঁজার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসবে—এমন একটি বিশ্ব দেখতে চান নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর ভাষায়, শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি খোঁজা হলো ‘আধুনিক দাসত্ব’।

শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি খোঁজা হলো ‘আধুনিক দাসত্ব’।

ড. ইউনূস বলছেন, ‘ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়েই একজন শিক্ষার্থী বলছেন, আমাকে চাকরি দিন। কিন্তু এটা বলছেন না যে আমাকে ১০ হাজার ডলার দিন, আমি নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে তুলব। তাঁর ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ তিনি তুলে দিচ্ছেন আরেকজনের হাতে। এটা আধুনিক দাসত্ব।’
সোশ্যাল বিজনেস ইয়ুথ সামিট-২০১৫-এ ড. ইউনূস তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গতকাল সোমবার দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে সোশ্যাল বিজনেস ইয়ুথ অ্যালায়েন্স, গ্লোবাল। ইউনূস সেন্টারের নির্দেশনা অনুযায়ী সোশ্যাল বিজনেস ইয়ুথ অ্যালায়েন্স পরিচালিত হয়।
প্রত্যেক মানুষই উদ্যোক্তা হয়ে জন্ম নেন: অধ্যাপক ইউনুস।
ড. ইউনূস বলেন, প্রত্যেক মানুষই উদ্যোক্তা হয়ে জন্ম নেন। কিন্তু সমাজ তাকে এমনভাবে মগজধোলাই করে যে তিনি চাকরি খুঁজতে বাধ্য হন। সে জন্য বেকারত্ব দেখা দেয়। তিনি আরও বলেন, একটা সময় ছিল উদ্যোক্তারা মূলধনের সমস্যায় পড়তেন, ব্যবসা করার জন্য অর্থ পেতেন না। এখন আর সেই অবস্থা নেই। ভালো ব্যবসায়িক ধারণা হলে ব্যবসায় অর্থায়ন এখন আর সমস্যা না। তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা যেন উদ্যোক্তা হতে পারো, সে জন্য গ্রামীণ ব্যাংক প্রস্তুত। তোমরা ব্যবসাসংক্রান্ত ধারণা নিয়ে আসো, গ্রামীণ ব্যাংক তোমাদের টাকা দেবে।’
তরুণদের উৎসাহ দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, হাজার হাজার উদ্যোক্তা আছেন, যাঁরা শিক্ষার্থী অবস্থায় ব্যবসা শুরু করেছেন এবং সফলও হয়েছেন।
তরুণ উদ্যোক্তাদের সামাজিক ব্যবসায়ে আগ্রহী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘শুধু ব্যবসা দিয়ে বিশ্বকে বদলানো যাবে না। এ জন্য মুনাফার বাইরেও চিন্তা করতে হবে। তোমাদের সামাজিক ব্যবসার দিকে যেতে হবে।’

শুধু ব্যবসা দিয়ে বিশ্বকে বদলানো যাবে না।

ড. ইউনূস কথা বলেন সায়েন্স ফিকশন নিয়েও। তিনি বলেন, সায়েন্স ফিকশন যা বলে, একসময় তা সত্যি হয়। যেমন স্মার্টফোন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, বিশ্বটা যদি হয় সায়েন্স ফিকশনের, তাহলে তাকে কেন সোশ্যাল ফিকশনের বিশ্বে পরিণত করা যাবে না?
Muhammad Yunus - video
তরুণদের বিশ্ব বদলে দেওয়ার প্রধান শক্তি উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘যদি আমরা একটি কাঙ্ক্ষিত সমাজ কিংবা বিশ্বের কল্পনা করতে না পারি, তাহলে তা কখনোই সত্যি হবে না। সে জন্য আমাদের একটি গন্তব্য দরকার, একটি নির্দেশনা দরকার। তুমি যদি জানো যে তোমাকে কোথায় যেতে হবে, তাহলে তুমি অবশ্যই সেখানে পৌঁছাতে পারবে। তোমার প্রযুক্তি, যোগাযোগ ক্ষমতা তোমাকে সেখানে নিয়ে যাবে।’

দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যের পর্যায়ে থাকবে—এমন একটি বিশ্বের কথা কল্পনা করো। দেখবে একসময় তা সত্যিই হয়ে যাবে।

তরুণদের উদ্দেশে ড. ইউনূসের শেষ উক্তিটি ছিল, দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যের পর্যায়ে থাকবে—এমন একটি বিশ্বের কথা কল্পনা করো। দেখবে একসময় তা সত্যিই হয়ে যাবে।

Monday, June 1, 2015

বাংলাদেশের সকল থানার পুলিশের ফোন নম্বর



বাংলাদেশের সকল থানার ওসির মোবাইল নাম্বার দেয়া হলো, আপনার থানার ওসি সাহেবের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহে রেখে দিন বলা তো যায় কখন কোন প্রয়োজনে থানার মোবাইল নাম্বার কাজে লেগে যেতে পারে ।
বাংলাদেশের সকল ওসি সাহেবদের সরকারী মোবাইল নম্বর:
ডিএমপি, ঢাকা:
১) ওসি রমনা- ০১৭১৩৩৭৩১২৫
২) ওসি ধানমন্ডি- ০১৭১৩৩৭৩১২৬
৩) ওসি শাহাবাগ- ০১৭১৩৩৭৩১২৭
৪) ওসি নিউ মার্কেট- ০১৭১৩৩৭৩১২৮
৫) ওসি লালবাগ- ০১৭১৩৩৭৩১৩৪
৬) ওসি কোতয়ালী- ০১৭১৩৩৭৩১৩৫
৭) ওসি হাজারীবাগ- ০১৭১৩৩৭৩১৩৬
৮) ওসি কামরাঙ্গীরচর- ০১৭১৩৩৭৩১৩৭
৯) ওসি সুত্রাপুর- ০১৭১৩৩৭৩১৪৩
১০) ওসি ডেমরা- ০১৭১৩৩৭৩১৪৪
১১) ওসি শ্যামপুর- ০১৭১৩৩৭৩১৪৫
১২) ওসি যাত্রাবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩১৪৬
১৩) ওসি মতিঝিল- ০১৭১৩৩৭৩১৫২
১৪) ওসি সবুজবাগ- ০১৭১৩৩৭৩১৫৩
১৫) ওসি খিলগাও- ০১৭১৩৩৭৩১৫৪
১৬) ওসি পল্টন- ০১৭১৩৩৭৩১৫৫
১৭) ওসি উত্তরা- ০১৭১৩৩৭৩১৬১
১৮) ওসি এয়ারপোর্ট- ০১৭১৩৩৭৩১৬২
১৯) ওসি তুরাগ- ০১৭১৩৩৭৩১৬৩
২০) ওসি উত্তরখান- ০১৭১৩৩৭৩১৬৪
২১) ওসি দক্ষিনখান- ০১৭১৩৩৭৩১৬৫
২২) ওসি গুলশান- ০১৭১৩৩৭৩১৭১
২৩) ওসি ক্যান্টনমেন্ট- ০১৭১৩৩৭৩১৭২
২৪) ওসি বাড্ডা- ০১৭১৩৩৭৩১৭৩
২৫) ওসি খিলক্ষেত- ০১৭১৩৩৭৩১৭৪
২৬) ওসি তেজগাও- ০১৭১৩৩৭৩১৮০
২৭) ওসি তেজগাও শি/এ- ০১৭১৩৩৭৩১৮১
২৮) ওসি মোহাম্মদপুর- ০১৭১৩৩৭৩১৮২
২৯) ওসি আদাবর- ০১৭১৩৩৭৩১৮৩
৩০) ওসি মিরপুর- ০১৭১৩৩৭৩১৮৯
৩১) ওসি পল্লবী- ০১৭১৩৩৭৩১৯০
৩২) ওসি কাফরুল- ০১৭১৩৩৭৩১৯১
৩৩) ওসি শাহ আলী- ০১৭১৩৩৭৩১৯২
সিএমপি, চট্রগ্রাম
১) ওসি কোতয়ালী, সিএমপি- ০১৭১৩৩৭৩২৫৬
২) ওসি পাহাড়তলী (নর্থ জোন)- ০১৭১৩৩৭৩২৫৭
৩) ওসি পাচলাইশ- ০১৭১৩৩৭৩২৫৮
৪) ওসি চান্দগাও- ০১৭১৩৩৭৩২৫৯
৫) ওসি খুলসী- ০১৭১৩৩৭৩২৬০
৬) ওসি বাকুলিয়া- ০১৭১৩৩৭৩২৬১
৭) ওসি ওসি বায়েজিদ বোস্তামী- ০১৭১৩৩৭৩২৬২
৮) ওসি বন্দর- ০১৭১৩৩৭৩২৬৭
৯) ওসি ডাবল মুরিং- ০১৭১৩৩৭৩২৬৮
১০) ওসি হালিশহর- ০১৭১৩৩৭৩২৬৯
১১) ওসি পতেঙ্গা- ০১৭১৩৩৭৩২৭০
১২) ওসি কর্ণফুলি- ০১৭১৩৩৭৩২৭১
১৩) ওসি ইমিগ্রেশন (বন্দর)- ০১৭১৩৩৭৩২৭২
১৪) ওসি পাহাড়তলী (বন্দর জোন)- ০১৭১৩৩৭৩২৭৩
কেএমপি, খুলনা
১) ওসি খুলনা- ০১৭১৩৩৭৩২৮৫
২) ওসি সোনাডাঙ্গা- ০১৭১৩৩৭৩২৮৬
৩) ওসি খালিশপুর- ০১৭১৩৩৭৩২৮৭
৪) ওসি দৌলতপুর- ০১৭১৩৩৭৩২৮৮
৫) ওসি খানজাহান আলী- ০১৭১৩৩৭৩২৮৯
আরএমপি, রাজশাহী
১) ওসি বোয়ালিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৩০৯
২) ওসি রাজপাড়া- ০১৭১৩৩৭৩৩১০
৩) ওসি মতিহার- ০১৭১৩৩৭৩৩১১
৪) ওসি শাহ মাকদুম- ০১৭১৩৩৭৩৩১২
ঢাকা বিভাগ
১) ওসি সাভার- ০১৭১৩৩৭৩৩২৭
২) ওসি ধামরাই- ০১৭১৩৩৭৩৩২৮
৩) ওসি কেরানীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩২৯
৪) ওসি নবাবগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৩০
৫) ওসি দোহার- ০১৭১৩৩৭৩৩৩১
৬) ওসি আশুলিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৩৩২
৭) ওসি দক্ষিন কেরানীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৩৩
৮) ওসি নারায়নগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৫
৯) ওসি ফতুল্লা- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৬
১০) ওসি বন্দর- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৭
১১) ওসি সিদ্দিরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৮
১২) ওসি আড়াইহাজার- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৯
১৩) ওসি সোনারগাও- ০১৭১৩৩৭৩৩৫০
১৪) ওসি রুপগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৫১
১৫) ওসি জয়দেবপুর ০১৭১৩৩৭৩৩৬৩
১৬) ওসি টংগী- ০১৭১৩৩৭৩৩৬৪
১৭) ওসি কালিয়াকৈর- ০১৭১৩৩৭৩৩৬৫
১৮) ওসি শ্রীপুর- ০১৭১৩৩৭৩৩৬৬
১৯) ওসি কাপাসিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৩৬৭
২০) ওসি কালিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৬৮
২১) ওসি মানিকগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৭৯
২২) ওসি ঘিওর- ০১৭১৩৩৭৩৩৮০
২৩) ওসি শিবালয়- ০১৭১৩৩৭৩৩৮১
২৪) ওসি দৌলতপুর- ০১৭১৩৩৭৩৩৮২
২৫) ওসি হরিরামপুর- ০১৭১৩৩৭৩৩৮৩
২৬) ওসি সাটুরিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৩৮৪
২৭) ওসি সিংগাইর- ০১৭১৩৩৭৩৩৮৫
২৮) ওসি মুন্সীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৯৬
২৯) ওসি টংগীবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৩৯৭
৩০) ওসি লৌহজং- ০১৭১৩৩৭৩৩৯৮
৩১) ওসি শ্রীনগর- ০১৭১৩৩৭৩৩৯৯
৩২) ওসি সিরাজদীখান- ০১৭১৩৩৭৩৪০০
৩৩) ওসি গজারিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৪০১
৩৪) ওসি নরসিংদী- ০১৭১৩৩৭৩৪১২
৩৫) ওসি রায়পুর- ০১৭১৩৩৭৩৪১৩
৩৬) ওসি শিবপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪১৪
৩৭) ওসি বেলাবো- ০১৭১৩৩৭৩৪১৫
৩৮) ওসি মনোহরদী- ০১৭১৩৩৭৩৪১৬
৩৯) ওসি পলাশ- ০১৭১৩৩৭৩৪১৭
৪০) ওসি কোতয়ালী মযমনসিংহ-০১৭১৩৩৭৩৪৩০
৪১) ওসি মুক্তাগাছা- ০১৭১৩৩৭৩৪৩১
৪২) ওসি ফুলবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৪৩২
৪৩) ওসি ত্রিশাল- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৩
৪৪) ওসি গৌরীপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৪
৪৫) ওসি ঈশ্বরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৫
৪৬) ওসি নান্দাইল- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৬
৪৭) ওসি ফুলপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৭
৪৮) ওসি হালুয়াঘাট- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৮
৪৯) ওসি ধোবাউরা- ০১৭১৩৩৭৩৪৩৯
৫০) ওসি গফরগাও- ০১৭১৩৩৭৩৪৪০
৫১) ওসি ভালুকা- ০১৭১৩৩৭৩৪৪১
৫২) ওসি তারাকান্দা- ০১৭১৩৩৭৩৪৪২
৫৩) ওসি টাঙ্গাইল- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৪
৫৪) ওসি মির্জাপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৫
৫৫) ওসি নাগরপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৬
৫৬) ওসি সখিপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৭
৫৭) ওসি বাসাইল- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৮
৫৮) ওসি দেলদুয়ার- ০১৭১৩৩৭৩৪৫৯
৫৯) ওসি মধুপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৬০
৬০) ওসি ঘাটাইল- ০১৭১৩৩৭৩৪৬১
৬১) ওসি কালিহাতি- ০১৭১৩৩৭৩৪৬২
৬২) ওসি ভুয়াপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৬৩
৬৩) ওসি ওসি যমুনা ব্রীজ পূর্ব-০১৭১৩৩৭৩৪৬৪
৬৪) ওসি ধনবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৪৬৫
৬৫) ওসি গোপালপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৬৬
৬৬) ওসি কিশোরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৪৮০
৬৭) ওসি করিমগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৪৮১
৬৮) ওসি তারাইল- ০১৭১৩৩৭৩৪৮২
৬৯) ওসি হোসেনপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৩
৭০) ওসি কটিয়াদী- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৪
৭১) ওসি বাজিতপুর- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৫
৭২) ওসি কুলিয়ারচর- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৬
৭৩) ওসি ভৈরব- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৭
৭৪) ওসি ইটনা- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৮
৭৫) ওসি মিঠামইন- ০১৭১৩৩৭৩৪৮৯
৭৬) ওসি নিকলী- ০১৭১৩৩৭৩৪৯০
৭৭) ওসি পাকুন্দিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৪৯১
৭৮) ওসি অষ্টগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৩৪৯২
৭৯) ওসি নেত্রকোনা- ০১৭১৩৩৭৩৫০৫
৮০) ওসি বারহাট্টা- ০১৭১৩৩৭৩৫০৬
৮১) ওসি কলমাকান্দা- ০১৭১৩৩৭৩৫০৭
৮২) ওসি আটপাড়া- ০১৭১৩৩৭৩৫০৮
৮৩) ওসি দুর্গাপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫০৯
৮৪) ওসি পূর্বধলা- ০১৭১৩৩৭৩৫১০
৮৫) ওসি কেন্দুয়া- ০১৭১৩৩৭৩৫১১
৮৬) ওসি মদন- ০১৭১৩৩৭৩৫১২
৮৭) ওসি মোহনগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৫১৩
৮৮) ওসি খালিজুরি- ০১৭১৩৩৭৩৫১৪
৮৯) ওসি শেরপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫২৩
৯০) ওসি নকলা- ০১৭১৩৩৭৩৫২৪
৯১) ওসি নলিতাবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৫২৫
৯২) ওসি শ্রীবর্দী- ০১৭১৩৩৭৩৫২৬
৯৩) ওসি ঝিনাইগাতি- ০১৭১৩৩৭৩৫২৭
৯৪) ওসি জামালপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫৩৮
৯৫) ওসি মেলান্দহ- ০১৭১৩৩৭৩৫৩৯
৯৬) ওসি সরিষাবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৫৪০
৯৭) ওসি দেওয়ানগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৫৪১
৯৮) ওসি ইসলামপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫৪২
৯৯) ওসি মাদারগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৫৪৩
১০০) ওসি বকশীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৫৪৪
১০১) ওসি বাহাদুরাবাদ- ০১৭১৩৩৭৩৫৪৫
১০২) ওসি কোতয়ালী ফরিদপুর-০১৭১৩৩৭৩৫৫৬
১০৩) ওসি মধুখালী- ০১৭১৩৩৭৩৫৫৭
১০৪) ওসি বোয়ালমারী- ০১৭১৩৩৭৩৫৫৮
১০৫) ওসি আলফাডাঙ্গা- ০১৭১৩৩৭৩৫৫৯
১০৬) ওসি চরভদ্রাসন- ০১৭১৩৩৭৩৫৬০
১০৭) ওসি নগরকান্দা- ০১৭১৩৩৭৩৫৬১
১০৮) ওসি সদরপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫৬২
১০৯) ওসি সালতা- ০১৭১৩৩৭৩৫৬৩
১১০) ওসি ভাংগা- ০১৭১৩৩৭৩৫৬৪
১১১) ওসি গোপালগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৫৭২
১১২) ওসি মকসুদপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫৭৩
১১৩) ওসি কাশিয়ানী- ০১৭১৩৩৭৩৫৭৪
১১৪) ওসি কোটালীপাড়া-০১৭১৩৩৭৩৫৭৫
১১৫) ওসি টুঙ্গিপাড়া- ০১৭১৩৩৭৩৫৭৬
১১৬) ওসি মাদারীপুর- ০১৭১৩৩৭৩৫৮৫
১১৭) ওসি রাজৈর- ০১৭১৩৩৭৩৫৮৬
১১৮) ওসি কালকিনি- ০১৭১৩৩৭৩৫৮৭
১১৯) ওসি শিবচর- ০১৭১৩৩৭৩৫৮৮
১২০) ওসি রাজবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৫৯৮
১২১) ওসি বালিয়াকান্দি-০১৭১৩৩৭৩৫৯৯
১২২) ওসি পাংশা- ০১৭১৩৩৭৩৬০০
১২৩) ওসি গোয়ালন্দ- ০১৭১৩৩৭৩৬০১
১২৪) ওসি গোসাইরহাট- ০১৭১৩৩৭৩৬১২
১২৫) ওসি ভেদরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৬১৩
১২৬) ওসি ডামুড্ডা- ০১৭১৩৩৭৩৬১৪
১২৭) ওসি জাজিরা- ০১৭১৩৩৭৩৬১৫
১২৮) ওসি নড়িয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬১৬
১২৯) ওসি পালং- ০১৭১৩৩৭৩৬১৭
১৩০) ওসি শখিপুর- ০১৭১৩৩৭৩৬১৮
চট্রগ্রাম বিভাগ:
১) ওসি রাউজান- ০১৭১৩৩৭৩৬৩৯
২) ওসি হাটহাজারী- ০১৭১৩৩৭৩৬৪০
৩) ওসি ফটিকছড়ি- ০১৭১৩৩৭৩৬৪১
৪) ওসি রাংগুনিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৪২
৫) ওসি পটিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৩
৬) ওসি মীরসরাই- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৪
৭) ওসি সীতাকুন্ডু- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৫
৮) ওসি আনোয়ারা- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৬
৯) ওসি বোয়ালখালী- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৭
১০) ওসি বাশখালী- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৮
১১) ওসি সাতকানিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৪৯
১২) ওসি লোহাগড়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৫০
১৩) ওসি চান্দনাইশ- ০১৭১৩৩৭৩৬৫১
১৪) ওসি সন্দীপ- ০১৭১৩৩৭৩৬৫২
১৫) ওসি কক্সবাজার- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৩
১৬) ওসি রামু- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৪
১৭) ওসি উখিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৫
১৮) ওসি টেকনাফ- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৬
১৯) ওসি চকোরিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৭
২০) ওসি কুতুবদিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৮
২১) ওসি মহেষখালী- ০১৭১৩৩৭৩৬৬৯
২২) ওসি পেকুয়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৭০
২৩) ওসি কোতয়ালী কুমিল্লা-০১৭১৩৩৭৩৬৮৫
২৪) ওসি চৌদ্দগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৩৬৮৬
২৫) ওসি দেবীদ্দার- ০১৭১৩৩৭৩৬৮৭
২৬) ওসি হোমনা- ০১৭১৩৩৭৩৬৮৮
২৭) ওসি লাকসাম- ০১৭১৩৩৭৩৬৮৯
২৮) ওসি দাউদকান্দি- ০১৭১৩৩৭৩৬৯০
২৯) ওসি বুড়িচং- ০১৭১৩৩৭৩৬৯১
৩০) ওসি চান্দিনা- ০১৭১৩৩৭৩৬৯২
৩২) ওসি বরুরা- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৩
৩৩) ওসি লাঙ্গলকোট- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৪
৩৪) ওসি মুরাদনগর- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৫
৩৫) ওসি ব্রাক্ষ্মনপাড়া- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৬
৩৬) ওসি মেঘনা- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৭
৩৭) ওসি মনোহরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৮
৩৮) ওসি তিতাস- ০১৭১৩৩৭৩৬৯৯
৩৯) ওসি সদর দক্ষিন কুমিল্লা-০১৭১৩৩৭৩৭০০
৪০) ওসি চাদপুর- ০১৭১৩৩৭৩৭১২
৪১) ওসি হাজীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭১৩
৪২) ওসি মতলব- ০১৭১৩৩৭৩৭১৪
৪৩) ওসি মতলব উত্তর- ০১৭১৩৩৭৩৭১৪
৪৪) ওসি মতলব দক্ষিন- ০১৭১৩৩৭৩৭১৫
৪৫) ওসি শাহারাস্তি- ০১৭১৩৩৭৩৭১৬
৪৬) ওসি কচুয়া- ০১৭১৩৩৭৩৭১৭
৪৭) ওসি ফরিদগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭১৮
৪৮) ওসি হাইমচর- ০১৭১৩৩৭৩৭১৯
৪৯) ওসি ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়া সদর-০১৭১৩৩৭৩৭৩০
৫০) ওসি সরাইল- ০১৭১৩৩৭৩৭৩১
৫১) ওসি আশুগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭৩২
৫২) ওসি নাসিরনগর- ০১৭১৩৩৭৩৭৩৩
৫৩) ওসি নবীনগর- ০১৭১৩৩৭৩৭৩৪
৫৪) ওসি বাঞ্ছারামপুর- ০১৭১৩৩৭৩৭৩৫
৫৫) ওসি কসবা- ০১৭১৩৩৭৩৭৩৬
৫৬) ওসি আখাউড়া- ০১৭১৩৩৭৩৭৩৭
৫৭) ওসি সুধারাম, নোয়াখালী-০১৭১৩৩৭৩৭৪৮
৫৮) ওসি বেগমগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭৪৯
৫৯) ওসি সেনবাগ- ০১৭১৩৩৭৩৭৫০
৬০) ওসি সোনাইমুরি- ০১৭১৩৩৭৩৭৫১
৬১) ওসি কোম্পানীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭৫২
৬২) ওসি চাটখিল- ০১৭১৩৩৭৩৭৫৩
৬৩) ওসি হাতিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৭৫৪
৬৪) ওসি চরজব্বার- ০১৭১৩৩৭৩৭৫৫
৬৫) ওসি লক্ষীপুর- ০১৭১৩৩৭৩৭৬৫
৬৬) ওসি রায়পুরা- ০১৭১৩৩৭৩৭৬৬
৬৭) ওসি রামগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৭৬৭
৬৮) ওসি রামগাতি- ০১৭১৩৩৭৩৭৬৮
৬৯) ওসি ফেনী- ০১৭১৩৩৭৩৭৭৮
৭০) ওসি সোনাগাজী- ০১৭১৩৩৭৩৭৭৯
৭১) ওসি ফুলগাজী- ০১৭১৩৩৭৩৭৮০
৭২) ওসি পরশুরাম- ০১৭১৩৩৭৩৭৮১
৭৩) ওসি ছাগলনাইয়া- ০১৭১৩৩৭৩৭৮২
৭৪) ওসি দাগনভুইয়া- ০১৭১৩৩৭৩৭৮৩
রাজশাহী বিভাগ
১) ওসি পবা- ০১৭১৩৩৭৩৮০০
২) ওসি গুদাগাড়ি- ০১৭১৩৩৭৩৮০১
৩) ওসি তানর- ০১৭১৩৩৭৩৮০২
৪) ওসি মোহনপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮০৩
৫) ওসি পুঠিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৮০৪
৬) ওসি বাগমারা- ০১৭১৩৩৭৩৮০৫
৭) ওসি দুর্গাপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮০৬
৮) ওসি চারঘাট- ০১৭১৩৩৭৩৮০৭
৯) ওসি বাঘা- ০১৭১৩৩৭৩৮০৮
১০) ওসি চাপাই নবাবগঞ্জ-০১৭১৩৩৭৩৮১৯
১১) ওসি শিবগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮২০
১২) ওসি গোমস্তাপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮২১
১৩) ওসি নাচোল- ০১৭১৩৩৭৩৮২২
১৪) ওসি ভোলাহাট- ০১৭১৩৩৭৩৮২৩
১৫) ওসি নওগা- ০১৭১৩৩৭৩৮৩৬
১৬) ওসি রায়নগর- ০১৭১৩৩৭৩৮৩৭
১৭) ওসি আত্রাই- ০১৭১৩৩৭৩৮৩৮
১৮) ওসি ধামরাই- ০১৭১৩৩৭৩৮৩৯
১৯) ওসি বাদলগাছি- ০১৭১৩৩৭৩৮৪০
২০) ওসি মহাদেবপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৪১
২১) ওসি পাটনীতলা- ০১৭১৩৩৭৩৮৪২
২২) ওসি নিয়ামতপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৪৩
২৩) ওসি মান্দা- ০১৭১৩৩৭৩৮৪৪
২৪) ওসি সাপাহার- ০১৭১৩৩৭৩৮৪৫
২৫) ওসি পর্শা- ০১৭১৩৩৭৩৮৪৬
২৬) ওসি নাটোর- ০১৭১৩৩৭৩৮৫৭
২৭) ওসি সিংড়া- ০১৭১৩৩৭৩৮৫৮
২৮) ওসি বাঘাতিপাড়া-০১৭১৩৩৭৩৮৫৯
২৯) ওসি গুরুদাসপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৬০
৩০) ওসি লালপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৬১
৩১) ওসি বরইগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৩৮৬২
৩২) ওসি নলডাংগা- ০১৭১৩৩৭৩৮৬৩
৩৩) ওসি কোতয়ালী, রংপুর-০১৭১৩৩৭৩৮৭৪
৩৪) ওসি গঙ্গাচুড়া- ০১৭১৩৩৭৩৮৭৫
৩৫) ওসি ভোদরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮৭৬
৩৬) ওসি তারাগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮৭৭
৩৭) ওসি মিঠাপুকুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৭৮
৩৮) ওসি পীরগাছা- ০১৭১৩৩৭৩৮৭৯
৩৯) ওসি কাউনিয়া- ০১৭১৩৩৭৩৮৮০
৪০) ওসি পীরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮৮১
৪১) ওসি গাইবান্ধা- ০১৭১৩৩৭৩৮৯২
৪২) ওসি সাদুল্লাপুর- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৩
৪৩) ওসি সুন্দরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৪
৪৫) ওসি পলাশবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৫
৪৬) ওসি গোবিন্দগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৬
৪৭) ওসি সাতঘাটা- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৭
৪৮) ওসি ফুলছড়ি- ০১৭১৩৩৭৩৮৯৮
৪৯) ওসি নিলফামারী- ০১৭১৩৩৭৩৯০৯
৫০) ওসি সৈয়দপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯১০
৫১) ওসি জলঢাকা- ০১৭১৩৩৭৩৯১১
৫২) ওসি কিশোরগঞ্জ (নিলফামারী)-০১৭১৩৩৭৩৯১২
৫৩) ওসি ডোমার- ০১৭১৩৩৭৩৯১৩
৫৪) ওসি ডিমলা- ০১৭১৩৩৭৩৯১৪
৫৪) ওসি সৈয়দপুর পুলিশ ফাড়ী-০১৭১৩৩৭৩৯১৫
৫৫) ওসি কুড়িগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৩৯২৬
৫৬) ওসি রাজারহাট- ০১৭১৩৩৭৩৯২৭
৫৭) ওসি ফুলবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৯২৮
৫৮) ওসি নাগেশ্বর- ০১৭১৩৩৭৩৯২৯
৫৯) ওসি বুরুঙ্গামারী- ০১৭১৩৩৭৩৯৩০
৬০) ওসি উলিপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৩১
৬১) ওসি চিলমারী- ০১৭১৩৩৭৩৯৩২
৬২) ওসি রৌমারী- ০১৭১৩৩৭৩৯৩৩
৬৩) ওসি রাজীবপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৩৪
৬৪) ওসি দুসমারা- ০১৭১৩৩৭৩৯৩৫
৬৫) ওসি কোচাকাটা- ০১৭১৩৩৭৩৯৩৬
৬৬) ওসি লালমনিরহাট- ০১৭১৩৩৭৩৯৪৬
৬৭) ওসি আদিতমারি- ০১৭১৩৩৭৩৯৪৭
৬৮) ওসি কালিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৯৪৮
৬৯) ওসি হাতিবান্দা- ০১৭১৩৩৭৩৯৪৯
৭০) ওসি পাটগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৩৯৫০
৭১) ওসি কোতয়ালী দিনাজপুর-০১৭১৩৩৭৩৯৬৩
৭২) ওসি চিরির বন্দর- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৪
৭৩) ওসি রিরল- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৫
৭৪) ওসি পার্বতীপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৬
৭৫) ওসি বীরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৭
৭৬) ওসি বোছাগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৮
৭৭) ওসি কাহারোল- ০১৭১৩৩৭৩৯৬৯
৭৮) ওসি খানসামা- ০১৭১৩৩৭৩৯৭০
৭৯) ওসি ফুলবাড়ী- ০১৭১৩৩৭৩৯৭১
৮০) ওসি বিরামপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৭২
৮২) ওসি নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর)-০১৭১৩৩৭৩৯৭৩
৮৩) ওসি ঘোড়াঘাট- ০১৭১৩৩৭৩৯৭৪
৮৪) ওসি হাকিমপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৭৫
৮৫) ওসি ঠাকুরগাও- ০১৭১৩৩৭৩৯৮৫
৮৬) ওসি বালিয়াডাঙ্গী-০১৭১৩৩৭৩৯৮৬
৮৭) ওসি রানীসঙ্কৌল- ০১৭১৩৩৭৩৯৮৭
৮৮) ওসি পীরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৩৯৮৮
৮৯) ওসি হরিপুর- ০১৭১৩৩৭৩৯৮৯
৯০) ওসি পঞ্চগড়- ০১৭১৩৩৭৩৯৯৯
৯১) ওসি বোদা- ০১৭১৩৩৭৪০০০
৯২) ওসি আটোয়ারী- ০১৭১৩৩৭৪০০১
৯৩) ওসি তেতুলিয়া- ০১৭১৩৩৭৪০০২
৯৪) ওসি দেবীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪০০৩
৯৫) ওসি পাবনা- ০১৭১৩৩৭৪০১৬
৯৬) ওসি ঈশ্বরদী- ০১৭১৩৩৭৪০১৭
৯৭) ওসি আটঘরিয়া- ০১৭১৩৩৭৪০১৮
৯৮) ওসি চাটমোহর- ০১৭১৩৩৭৪০১৯
৯৯) ওসি ভঙ্গোরা- ০১৭১৩৩৭৪০২০
১০০) ওসি ফরিদপুর (পাবনা)-০১৭১৩৩৭৪০২১
১০১) ওসি সূর্যনগর- ০১৭১৩৩৭৪০২২
১০২) ওসি বেড়া- ০১৭১৩৩৭৪০২৩
১০৩) ওসি সাথিয়া- ০১৭১৩৩৭৪০২৪
১০৪) ওসি আতাইকুলা- ০১৭১৩৩৭৪০২৫
১০৫) ওসি সিরাজগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪০৩৮
১০৬) ওসি শাহাজাদপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৩৯
১০৭) ওসি উল্লাপাড়া- ০১৭১৩৩৭৪০৪০
১০৮) ওসি চৌহালী- ০১৭১৩৩৭৪০৪১
১০৯) ওসি তারাস- ০১৭১৩৩৭৪০৪২
১১০) ওসি কাজিপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৪৩
১১১) ওসি কামারকান্দা- ০১৭১৩৩৭৪০৪৪
১১২) ওসি রায়গঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪০৪৫
১১৩) ওসি বেলকুচি- ০১৭১৩৩৭৪০৪৬
১১৪) ওসি যমুনা ব্রীজ পশ্চিম-০১৭১৩৩৭৪০৪৭
১১৫) ওসি সালাঙ্গা- ০১৭১৩৩৭৪০৪৮
১১৬) ওসি এনায়েতপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৪৯
১১৭) ওসি বগুড়া- ০১৭১৩৩৭৪০৬১
১১৮) ওসি শিবগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪০৬২
১১৯) ওসি সোনাতলা- ০১৭১৩৩৭৪০৬৩
১২০) ওসি গাবতলী- ০১৭১৩৩৭৪০৬৪
১২১) ওসি সারিয়াকান্দি-০১৭১৩৩৭৪০৬৫
১২২) ওসি আদমদিঘী- ০১৭১৩৩৭৪০৬৬
১২৩) ওসি ধুপচাচিয়া- ০১৭১৩৩৭৪০৬৭
১২৪) ওসি কাহালু- ০১৭১৩৩৭৪০৬৮
১২৫) ওসি শেরপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৬৯
১২৬) ওসি ধুনট- ০১৭১৩৩৭৪০৭০
১২৭) ওসি নন্দিগ্রাম- ০১৭১৩৩৭৪০৭১
১২৮) ওসি শাহজাহানপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৭২
১২৯) ওসি জয়পুরহাট- ০১৭১৩৩৭৪০৮২
১৩০) ওসি কালাই- ০১৭১৩৩৭৪০৮৩
১৩১) ওসি ক্ষেতলাল- ০১৭১৩৩৭৪০৮৪
১৩২) ওসি আক্কেলপুর- ০১৭১৩৩৭৪০৮৫
১৩৩) ওসি পাচবিবি- ০১৭১৩৩৭৪০৮৬
খুলনা বিভাগ
১) ওসি ফুলতলা- ০১৭১৩৩৭৪১০৩
২) ওসি দিঘলিয়া- ০১৭১৩৩৭৪১০৪
৩) ওসি পাইকগাছা- ০১৭১৩৩৭৪১০৫
৪) ওসি বটিয়াঘাটা- ০১৭১৩৩৭৪১০৬
৫) ওসি ডুমুরিয়া- ০১৭১৩৩৭৪১০৭
৬) ওসি তেরখাদা- ০১৭১৩৩৭৪১০৮
৭) ওসি রুপসা- ০১৭১৩৩৭৪১০৯
৮) ওসি দাকোপ- ০১৭১৩৩৭৪১১০
৯) ওসি কয়রা- ০১৭১৩৩৭৪১১১
১০) ওসি বাগেরহাট- ০১৭১৩৩৭৪১২২
১১) ওসি ফকিরহাট- ০১৭১৩৩৭৪১২৩
১২) ওসি মোল্লারহাট- ০১৭১৩৩৭৪১২৪
১৩) ওসি চিতলমারী- ০১৭১৩৩৭৪১২৫
১৪) ওসি কচুয়া- ০১৭১৩৩৭৪১২৬
১৫) ওসি মোরলগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪১২৭
১৬) ওসি শরনখোলা- ০১৭১৩৩৭৪১২৮
১৭) ওসি মংলা- ০১৭১৩৩৭৪১২৯
১৮) ওসি রামপাল- ০১৭১৩৩৭৪১৩০
১৯) ওসি সাতক্ষীরা- ০১৭১৩৩৭৪১৪১
২০) ওসি কলারোয়া- ০১৭১৩৩৭৪১৪২
২১) ওসি তালা- ০১৭১৩৩৭৪১৪৩
২২) ওসি কালিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪১৪৪
২৩) ওসি শ্যামনগর- ০১৭১৩৩৭৪১৪৫
২৪) ওসি দেবহাটা- ০১৭১৩৩৭৪১৪৬
২৫) ওসি আশাশুনি- ০১৭১৩৩৭৪১৪৭
২৬) ওসি পাটকেলঘাটা- ০১৭১৩৩৭৪১৪৮
২৭) ওসি কোতয়ালী যশোর-০১৭১৩৩৭৪১৬১
২৮) ওসি ঝিকরগাছা- ০১৭১৩৩৭৪১৬২
২৯) ওসি শার্শা- ০১৭১৩৩৭৪১৬৩
৩০) ওসি চৌগাছা- ০১৭১৩৩৭৪১৬৪
৩১) ওসি মনিরামপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৬৫
৩২) ওসি কেশবপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৬৬
৩৩) ওসি অভয়নগর- ০১৭১৩৩৭৪১৬৭
৩৪) ওসি বাঘারপাড়া- ০১৭১৩৩৭৪১৬৮
৩৫) ওসি বেনাপোল পোর্ট-০১৭১৩৩৭৪১৬৯
৩৬) ওসি বেনাপোল চেক পোষ্ট-০১৭১৩৩৭৪১৭০
৩৭) ওসি মাগুরা- ০১৭১৩৩৭৪১৭৯
৩৮) ওসি শালিখা- ০১৭১৩৩৭৪১৮০
৩৯) ওসি শ্রীপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৮১
৪০) ওসি মোহাম্মদপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৮২
৪১) ওসি ঝিনাইদহ- ০১৭১৩৩৭৪১৯২
৪২) ওসি কালিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪১৯৩
৪৩) ওসি শৈলকুপা- ০১৭১৩৩৭৪১৯৪
৪৪) ওসি হরিনাকুন্ডু- ০১৭১৩৩৭৪১৯৫
৪৫) ওসি কোটচাদপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৯৬
৪৬) ওসি মহেশপুর- ০১৭১৩৩৭৪১৯৭
৪৭) ওসি নড়াইল- ০১৭১৩৩৭৪২০৬
৪৮) ওসি কালিয়া- ০১৭১৩৩৭৪২০৭
৪৯) ওসি লোহাগড়া- ০১৭১৩৩৭৪২০৮
৫০) ওসি নড়াগাতি- ০১৭১৩৩৭৪২০৯
৫১) ওসি কুষ্টিয়া- ০১৭১৩৩৭৪২২০
৫২) ওসি খোকসা- ০১৭১৩৩৭৪২২১
৫৩) ওসি কুমারখালী- ০১৭১৩৩৭৪২২২
৫৪) ওসি ভেড়ামারা- ০১৭১৩৩৭৪২২৩
৫৫) ওসি দৌলতপুর- ০১৭১৩৩৭৪২২৪
৫৬) ওসি মিরপুর- ০১৭১৩৩৭৪২২৫
৫৭) ওসি ইসলামী ইউনিভার্সিটি-০১৭১৩৩৭৪২২৬
৫৮) ওসি চুয়াডাংগা- ০১৭১৩৩৭৪২৩৬
৫৯) ওসি আলমডাংগা- ০১৭১৩৩৭৪২৩৭
৬০) ওসি জীবননগর- ০১৭১৩৩৭৪২৩৮
৬১) ওসি ডামুরহুদা- ০১৭১৩৩৭৪২৩৯
৬২) ওসি মেহেরপুর- ০১৭১৩৩৭৪২৪৯
৬৩) ওসি গাংনী- ০১৭১৩৩৭৪২৫০
৬৪) ওসি মুজিবনগর- ০১৭১৩৩৭৪২৫১
বরিশাল বিভাগ
১) ওসি কোতয়ালী বরিশাল-০১৭১৩৩৭৪২৬৭
২) ওসি হিজলা- ০১৭১৩৩৭৪২৬৮
৩) ওসি মেহেদীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪২৬৯
৪) ওসি মুলাদী- ০১৭১৩৩৭৪২৭০
৫) ওসি বাবুগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪২৭১
৬) ওসি বাকেরগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪২৭২
৭) ওসি বানারীপাড়া- ০১৭১৩৩৭৪২৭৩
৮) ওসি আগৌলঝাড়া- ০১৭১৩৩৭৪২৭৪
৯) ওসি গৌরনদী- ০১৭১৩৩৭৪২৭৫
১০) ওসি উজিরপুর- ০১৭১৩৩৭৪২৭৬
১১) ওসি ঝালকাঠি- ০১৭১৩৩৭৪২৮৬
১২) ওসি নলছিঠি- ০১৭১৩৩৭৪২৮৭
১৩) ওসি রাজাপুর- ০১৭১৩৩৭৪২৮৮
১৪) ওসি কাঠালিয়া- ০১৭১৩৩৭৪২৮৯
১৫) ওসি ভোলা- ০১৭১৩৩৭৪৩০০
১৬) ওসি দৌলতখান- ০১৭১৩৩৭৪৩০১
১৭) ওসি তজুমুদ্দিন- ০১৭১৩৩৭৪৩০২
১৮) ওসি বোরহানউদ্দিন- ০১৭১৩৩৭৪৩০৩
১৯) ওসি লালমোহন- ০১৭১৩৩৭৪৩০৪
২০) ওসি চরফ্যাশন- ০১৭১৩৩৭৪৩০৫
২১) ওসি মনপুরা- ০১৭১৩৩৭৪৩০৬
২২) ওসি পটুয়াখালী- ০১৭১৩৩৭৪৩১৮
২৩) ওসি বাউফল- ০১৭১৩৩৭৪৩১৯
২৪) ওসি গলাচিপা- ০১৭১৩৩৭৪৩২০
২৫) ওসি দশমিনা- ০১৭১৩৩৭৪৩২১
২৬) ওসি দুমকী- ০১৭১৩৩৭৪৩২২
২৭) ওসি কলাপাড়া- ০১৭১৩৩৭৪৩২৩
২৮) ওসি মির্জাগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩২৪
২৯) ওসি রাঙ্গাবালি- ০১৭১৩৩৭৪৩২৫
৩০) ওসি পিরোজপুর- ০১৭১৩৩৭৪৩৩৬
৩১) ওসি ভান্ডারিয়া- ০১৭১৩৩৭৪৩৩৭
৩২) ওসি নেসারাবাদ- ০১৭১৩৩৭৪৩৩৮
৩৩) ওসি কাউখালী- ০১৭১৩৩৭৪৩৩৯
৩৪) ওসি নাজিরপুর- ০১৭১৩৩৭৪৩৪০
৩৫) ওসি জিয়া নগর- ০১৭১৩৩৭৪৩৪১
৩৬) ওসি মঠবাড়ীয়া- ০১৭১৩৩৭৪৩৪২
৩৭) ওসি বরগুনা- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৩
৩৮) ওসি আমতলী- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৪
৩৯) ওসি পাথরঘাটা- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৫
৪০) ওসি বেতাগী- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৬
৪১) ওসি বামনা- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৭
৪২) ওসি তালতলি- ০১৭১৩৩৭৪৩৫৮
সিলেট বিভাগ
১) ওসি কোতয়ালী (সিলেট)-
০১৭১৩৩৭৪৩৭৫
২) ওসি বালাগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৭৬
৩) ওসি জৈন্তাপুর- ০১৭১৩৩৭৪৩৭৭
৪) ওসি গোয়াইনঘাট- ০১৭১৩৩৭৪৩৭৮
৫) ওসি কানাইঘাট- ০১৭১৩৩৭৪৩৭৯
৬) ওসি কোম্পানীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৮০
৭) ওসি জকিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৮১
৮) ওসি বিয়ানীবাজার- ০১৭১৩৩৭৪৩৮২
৯) ওসি গোলাপগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৮৩
১০) ওসি বিশ্বনাথ- ০১৭১৩৩৭৪৩৮৪
১১) ওসি ফেঞ্চুগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৮৫
১২) ওসি দক্ষিন সুরমা- ০১৭১৩৩৭৪৩৮৬
১৩) ওসি ওসমানী নগর- ০১৭১৩৩৭৪৩৮৭
১৪) ওসি হবিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৩৯৮
১৫) ওসি মাধবপুর- ০১৭১৩৩৭৪৩৯৯
১৬) ওসি চুনারুঘাট- ০১৭১৩৩৭৪৪০০
১৭) ওসি বাহুবল- ০১৭১৩৩৭৪৪০১
১৮) ওসি লাখাই- ০১৭১৩৩৭৪৪০২
১৯) ওসি নবীগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪০৩
২০) ওসি বানিয়াচং- ০১৭১৩৩৭৪৪০৪
২১) ওসি আজমিরিগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪০৫
২২) ওসি শায়েস্তাগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪০৬
২৩) ওসি সুনামগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪১৮
২৪) ওসি ছাতক- ০১৭১৩৩৭৪৪১৯
২৫) ওসি জগন্নাথপুর- ০১৭১৩৩৭৪৪২০
২৬) ওসি তাহিরপুর- ০১৭১৩৩৭৪৪২১
২৭) ওসি বিশ্বম্বরপুর- ০১৭১৩৩৭৪৪২২
২৮) ওসি দোয়ারাবাজার-০১৭১৩৩৭৪৪২৩
২৯) ওসি দিরাই- ০১৭১৩৩৭৪৪২৪
৩০) ওসি সালনা- ০১৭১৩৩৭৪৪২৫
৩১) ওসি জামালগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪২৬
৩২) ওসি ধর্মপাশা- ০১৭১৩৩৭৪৪২৭
৩৩) ওসি মধ্যনগর- ০১৭১৩৩৭৪৪২৮
৩৪) ওসি মৌলভীবাজার-০১৭১৩৩৭৪৪৩৯
৩৫) ওসি শ্রীমঙ্গল- ০১৭১৩৩৭৪৪৪০
৩৬) ওসি কমলগঞ্জ- ০১৭১৩৩৭৪৪৪১
৩৭) ওসি রাজনগর- ০১৭১৩৩৭৪৪৪২
৩৮) ওসি কুলাউড়া- ০১৭১৩৩৭৪৪৪৩
৩৯) ওসি বড়লেখা- ০১৭১৩৩৭৪৪৪৪
৪০) ওসি জুরি- ০১৭১৩৩৭৪৪৪৫
ধন্যবাদ।।

Saturday, May 30, 2015

বাংলাদেশে গাড়ী তৈরির কারখানা

রাজশাহীতে স্থাপিত হচ্ছে অটোকার তৈরির কারখানা
রাজশাহীতে স্থাপিত হচ্ছে অটোকার তৈরির কারখানা
রাজশাহীতে স্থাপিত হচ্ছে অটোকার তৈরির কারখানা
রাজশাহী অফিস : শিল্প সম্ভাবনাময় রাজশাহীতে এবার অটোকার (মোটরযান) কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত তিনটি কার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের এনা গ্রুপের সহযোগিতায় রাজশাহীতে এ কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ জন্য শুক্রবার কোরিয়ার তিন কোম্পানির ১১ জনের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে। এতে শিল্প প্রসার ছাড়াও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
এনা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোসলেহ উদ্দিন জানান, অবহেলিত রাজশাহীতে শিল্পকারখানা স্থাপনের অংশ হিসেবে এখানে অটোকার কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এনা গ্রুপের সহযোগিতায় দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি কোম্পানি এ কারখানা স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ২৬ মার্চ এনা গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল কোরিয়ায় কার তৈরি প্রতিষ্ঠান জিনওয়া, বিএমজি ও কেআরডব্লিউয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়। ওইদিন ফোয়াংসিটি হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় কোম্পানি তিনটির সঙ্গে এনা গ্রুপের এ সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক কোরিয়ার প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে আসছে।
তিনি আরও জানান, কারখানা স্থাপনে রাজশাহী নগরীর বিসিক শিল্প এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে। কারখানা স্থাপনের স্থান পরিদর্শন ও বাণিজ্যিক অন্যান্য বিষয়ে অবহিত হওয়ার জন্য কোম্পানি তিনটির ১১ জনের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে। দলের শুক্রবার রাত ৮টায় বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। শনিবার সকালে তারা ঢাকায় এনা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ওই দিন বিকেলে তারা রাজশাহীর বাগমারায় আসবে। এখানে এনা গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে রবিবার তারা নগরীর বিসিক এলাকার সম্ভাব্য কার তৈরির কারখানার স্থান পরিদর্শন করবেন। সেইসঙ্গে দুপুরে কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ মিলনায়তনে প্রথমে রাজশাহীর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ও পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এখানে তাদের আগ্রহ ও ব্যবসা বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন।
এনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক জানান, রাজশাহীতে কারখানাটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ছাড়াও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

Tuesday, May 26, 2015

বাংলাদেশের ৭ টি বিভাগের ৬৪ টি জেলার নামকরণের ইতিহাস



বাংলাদেশের ৭ টি বিভাগের ৬৪ টি জেলার নামকরণের ইতিহাস সংক্ষেপে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হল।
১. বরিশাল বিভাগ ২. চট্টগ্রাম ৩. ঢাকা ৪. খূলনা বিভাগ ৫. রাজশাহী বিভাগ ৬. রংপুর বিভাগ ও ৭. সিলেট বিভাগ।

১। বরিশাল বিভাগঃ- 
বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে। বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠী, পটুয়াখালি, পিরোজপুর ও ভোলা এই ৬ জেলা নিয়ে বরিশাল বিভাগ গঠিত হয়। অবশেষে ২০০০ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১. বরগুনা জেলাঃ-
বরগুনা নামের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও জানা যায় যে, উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এ অঞ্চলে কাঠ নিতে এস খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকুল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্য এখানে অপেক্ষা করত বলে এ স্থানের নাম হয় বড় গোনা।কারো মতে আবার স্রোতের বিপরীতে গুন (দড়ি) টেনে নৌকা অতিক্রম করতে হতো বলে এ স্থানের নাম বরগুনা। কেউ কেউ বলেন, বরগুনা নামক কোন প্রভাবশালী রাখাইন অধিবাসীর নামানুসারে বরগুনা। আবার কারো মতে বরগুনা নামক কোন এক বাওয়ালীর নামানুসারে এ স্থানের নাম করণ করা হয় বরগুনা।
২. বরিশাল জেলাঃ-
বরিশাল নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায় যে, পূর্বে এখানে খুব বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো, আর এই বড় শাল গাছের কারণে (বড়+শাল) বরিশাল নামের উৎপত্তি। কেউ কেউ দাবি করেন, পর্তুগীজ বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর জন্য বরিশাল নামকরণ করা হয়েছে। অন্য এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায় যে, গিরদে বন্দরে (গ্রেট বন্দর) ঢাকা নবাবদের বড় বড় লবণের গোলা ও চৌকি ছিল। ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকরা বড় বড় লবণের চৌকিকে ‘বরিসল্ট’ বলতো। অথাৎ বরি (বড়)+ সল্ট(লবণ)= বরিসল্ট। আবার অনেকের ধারণা এখানকার লবণের দানাগুলো বড় বড় ছিল বলে ‘বরিসল্ট’ বলা হতো । পরবর্তিতে বরিসল্ট শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে বরিশাল নামে পরিচিতি লাভ করে।
৩. ভোলা জেলাঃ-
ভোলা জেলার নামকরণের পিছনে স্থায়ীভাবে একটি লোককাহিনী প্রচলিত আছে যে, ভোলা শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বেতুয়া নামক খালটি এখনকার মত অপ্রশস্ত ছিলনা। একসময় এটি পরিচিত ছিল বেতুয়া নদী নামে। খেয়া নৌকার সাহায্যে নদীতে পারাপার করা হত। বুড়ো এক মাঝি এখানে খেয়া নৌকার সাহায্যে লোকজন পারাপার করতো। তাঁর নাম ছিল ভোলা গাজী পাটনী। বর্তমানে যোগীরঘোলের কাছেই তাঁর আস্তানা ছিল। এই ভোলা গাজীর নামানুসারেই এক সময় স্থানটির নাম দেয়া হয় ভোলা। সেই থেকে আজ অব্দী ভোলা নামে পরিচিত।
৪. ঝালকাঠি জেলাঃ-
জেলার নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এ জেলার জেলে সম্প্রদায়ের ইতিহাস। মধ্যযুগ-পরবর্তী সময়ে সন্ধ্যা, সুগন্ধা, ধানসিঁড়ি আর বিষখালী নদীর তীরবর্তী এলাকায় জেলেরা বসতি স্থাপন করে। এর প্রাচীন নাম ছিল ‘মহারাজগঞ্জ’। মহারাজগঞ্জের ভূ-স্বামী শ্রী কৈলাশ চন্দ্র জমিদারি বৈঠক সম্পাদন করতেন এবং পরবর্তীতে তিনি এ স্থানটিতে এক গঞ্জ বা বাজার নির্মাণ করেন। এ গঞ্জে জেলেরা জালের কাঠি বিক্রি করত। এ জালের কাঠি থেকে পর্যায়ক্রমে ঝালকাঠি নামকরণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়। জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে জেলেরা এখানে মাছ শিকারের জন্য আসত এবং যাযাবরের মতো সুগন্ধা নদীর তীরে বাস করত। এ অঞ্চলের জেলেদের পেশাগত পরিচিতিকে বলা হতো ‘ঝালো’। এরপর জেলেরা বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে এখানে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলে। এভাবেই জেলে থেকে ঝালো এবং জঙ্গল কেটে বসতি গড়ে তোলার কারণে কাটি শব্দের প্রচলন হয়ে ঝালকাটি শব্দের উৎপত্তি হয়। পরবর্তীকালে ঝালকাটি রূপান্তরিত হয় ঝালকাঠিতে।১৯৮৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী ঝালকাঠি পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা লাভ করে।
৫. পটুয়াখালী জেলাঃ-
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি থেকে জানা যায যে, পটুয়াখালী চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অন্তর্ভক্ত ছিল। পটুয়াখালী নামকরণের পিছনে প্রায় সাড়ে তিনশত বছরের লুন।টন অত্যাচারের ইতিহাস জড়িত আছে বলে জানা যায়। পটুয়াখালী শহরের উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত নদীটি পূর্বে ভরনী খাল নামে পরিচিত ছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শুরু থেকে পর্তুগীজ জলদস্যুরা এই খালের পথ দিয়ে এস সন্নিহিত এলাকায় নির্বিচারে অত্যাচার হত্যা লুন্ঠন চালাত। স্থানীয় লোকেরা এই হানাদারদের ‘নটুয়া’ বলত এবং তখন থেকে খালটি নটুয়ার খাল নামে ডাকা হয়। কথিত আছে, এই “নটুয়ার খাল” খাল থেকে পরবর্তীতে এ এলাকার নামকরণ হয় পটুয়াখালী।
৬. পিরোজপুর জেলাঃ-
“ফিরোজ শাহের আমল থেকে ভাটির দেশের ফিরোজপুর,
বেনিয়া চক্রের ছোয়াচ লেগে পাল্টে হলো পিরোজপুর”
উপরোক্ত কথন থেকে পিরোজপুর নামকরণের একটা সূত্র পাওয়া যায়। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলাল উদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেয় বংশধর হিসেবে দাবি করেছিলেন বলে জানা যায়। বাংলার সুবেদার শাহ।। সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসে আত্মগোপন করেন। এক পর্যায়ে নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পাড়ে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয়, শাহ সুজা তাঁর দুই কন্যাসহ আরাকান রাজ্যে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর স্ত্রী ও এক শিশুপ্রত্র রেখে যান। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে ধীরে পশ্চিমে চলে আসে এবং বর্তমান পিরোজপুরের পাশ্ববর্তী দামোদর নদীর মুখে আস্তানা তৈরি করেন। এ শিশুর নাম ছিল ফিরোজ এবং তাঁর নামানুসারে হয় ফিরোজপুর। কালের বিবর্তনে ফিরোজপুরের নাম হয় ‘পিরোজপুর’। পিরোজপুর ১৯৫৯ সালের ২৮ অক্টোবর পিরোজপুর মহকুমা এবং পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে জেলার রূপান্তরিত হয়।
২। চট্টগ্রাম বিভাগঃ-
১. বান্দরবন জেলাঃ-
বান্দরবন জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি আছে, এলাকার বাসিন্দাদের মুখে প্রচলিত রূপকথায় অত্র এলাকায় এ সময় অসংখ্য বানর বাস করত। আর এ ই বানরগুলো শহরের প্রবেশ মুখে ছড়ার পাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ খেতে আসত। এক সময় অতি বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেলে বানরের দল ছড়া পাড় থেকে পাহাড়ে যেতে না পারায় একে অপরকে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পার হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই র্দশ্য ধেকতে পায় এই জনপদের মানুষ। এই সময় থেকে জায়গাটি “ম্যাঅকছি ছড়া” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মার্মা ভাষায় ম্যাঅক শব্দটির অর্থ হল বানর আর ছিঃ শব্দটির অর্থ হল বাধঁ। কালের প্রবাহে বাংল ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম বান্দরবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তবে মার্মা ভাষায় বান্দরবনের প্রকৃত নাম “রদ ক্যওচি চিম্রো’।
২. ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলাঃ- 
১৯৮৪ সালে ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তার আগে এটি কুমিল্লা জেলার একটি মহকুমা ছিল। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরণের সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাইনি, আপনাদের জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
৩. চাঁদপুর জেলাঃ-
১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজ জরিপকারী মেজর জেমস রেনেল তৎকালনি বাংলার যে মানচিত্র অংকন করেছিলেন তাতে চাঁদপুর নামে এক অখ্যাত জনপদ ছিল। তখন চাঁদপুরের দক্ষিণে নরসিংহপুর নামক ( বর্তমানে যা নদীগর্ভে বিলীন) স্থানে চাঁদপুরের অফিস-আদালত ছিল। পদ্মা ও মেঘনার সঙ্গমস্থল ছিল বতৃমান স্থান থেকে পাওয়া প্রায় ৬০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে। মেঘনা নদীর ভাঙ্গাগড়ার খেলায় এ এলাকা বর্তমানে বিলীন। বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। ঐতিহাসিক জে.এম সেনগুপ্তের মতে চাঁদরায়ের নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কথিত আছে চাঁপুরের (কোড়ালিয়া) পুরিন্দপুর মহল্লার চাঁদ ফকিরের নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কারো কারো মতে, শাহ আহমেদ চাঁদ নামে একজন প্রশাষক দিল্লী থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদী বন্দর স্থাপন করেছিলেন। তাঁর নামানুসারে চাঁদপুর। ১৮৭৮ সালে প্রথম চাঁদপুর মহকুমার সৃষ্টি হয়। ১৮৯৬ সালের ১ অক্টোবর চাঁদপুর শহরকে পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারী চাঁদপুর জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
৪. চট্টগ্রাম জেলাঃ-
চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮ টি নামের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে রম্যভূমি, চাটিগাঁ, চাতগাও, রোসাং, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম ইত্যাদি। চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে, পন্ডিত বার্নোলির মতে, আরবি ‘শ্যাত (খন্ড) অর্থ বদ্বীপ, গাঙ্গ অর্থ গঙ্গা নদী থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। অপর এক মতে ত্রয়োদশ শতকে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন বার জন আউলিয়া। তাঁরা একটি বড় বাতি বা চেরাগ জ্বালিয়ে উঁচু জায়গায় স্থাপন করেছিলেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘চাটি’ অর্থ বাতি বা চেরাগ ্এবং গাঁও অর্থ গ্রাম। এ থেকে নাম হয় ”চাটিগাঁও”। এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্সের মতে, এ এলাকার একটি ক্ষুদ্র পাখির নাম থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম মোঘল সম্রাজের অংশ হয়। আরাকানদের পরাজিত করে মোঘল এর নাম রাখেন ইসলামাবাদ। ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মীর কাশিম আলী খান ইসলামাবাদকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করেন। পরে কোম্পানি এর নাম রাখেন চিটাগাং।
৫. কুমিল্লা জেলাঃ- 
প্রাচীনকালে এটি সমতট জনপদের অন্তর্গত ছিল এবং পরবর্তীতে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়। কুমিল্লা নামকরণের অনেকগুলো প্রচলিত লোককথা আছে, যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য চৈনিক পরিব্রাজক ওয়াং চোয়াং কর্তৃক সমতট রাজ্য পরিভ্রমণের বৃত্তান্ত। তাঁর বর্ণনায় কিয়া-মল-ঙ্কিয়া
( Kiamolonkia) নামক স্থানের বর্ণনা রয়েছে তা থেকে কমলাঙ্ক বা কুমিল্লার নামকরণ হয়েছে। ১৯৬০ সালে কুমিল্লা জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
ইমতিয়াজ নাঈম নামের একজন পাঠক অবশ্য সময়ের কণ্ঠস্বরে পাঠিয়েছেন কুমিল্লা জেলার নামকরনের এক ভিন্ন ইতিহাস। পাঠকের অবগতি এবং মতামতের জন্য সংযোজন করা হল
হযরত রাস্তিশাহ (রাঃ) নামক এক ওলি ইরাকের বাগদাদ থেকে এসেছিলেন ইসলাম প্রচার করার জন্য, যার নামানুসারে বর্তমান শাহরাস্তি থানার নামকরণ করা হয়েছে। বাগদাদ থেকে উনি যখন রওনা হলেন, তখন তাকে গন্তব্য দেয়া হলো – বর্তমান শাহরাস্তি। তাকে বলা হলো _ তোমার গন্তব্যস্থান এর পূর্বে সে পাহাড় দেখতে পাবে। পথিমধ্যে উনি যখন বর্তমান কুমিল্লায় পৌঁছেন, তখন তার সফর সঙ্গী কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠেন _ “কুহু মিলা “। কুহু – মানে পাহাড়, আর মিলা – মানে পেয়েছি বা পাওয়া গেছে। যার অর্থ পাহাড় পেয়েছি। কালের বিবর্তনে – সেই কুহু মিলা, আজ কুমিল্লা।
৬. কক্সবাজার জেলাঃ-
আরব ব্যবসয়ী ও ধর্ম প্রচারকগণ ৮ম শতকে চট্টগ্রাম ও আকিব বন্দরে আগমন করেন। এই দুই বন্দরের মধ্যবর্তী হওয়ায় কক্সবাজার এলাকা আরবদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসে। নবম শতাব্দীতে কক্সবাজার সহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম হরিকেলার রাজা কান্তিদেব দ্বারা শাসিত হয়। ৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজা সুলাত ইঙ্গ চট্টগ্রাম দখল করে নেবার পর থেকে কক্সবাজার আরাকান রাজ্যের অংশ হয়। ১৭৮৪ সালে রার্মারাজ বোধাপায়া আরাকান দখল করে নেয়। ১৭৯৯ সালে বার্মারাজের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রায় ১৩ হাজার আরাকনি কক্সবাজার থেকে পালিয়ে যায়। এদর পূনর্বাসন করার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একজন হিরাম কক্সকে নিয়োগ করে। পূনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হবার পূর্বেই হিরাম কক্স মৃত্যু বরণ করেন। পূনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তাঁর অবদানের জন্য কক্স-বাজার নামক একটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কক্স-বাজার থেকে কক্সবাজার নামের উৎপত্তি।
৭. ফেনী জেলাঃ-
ফেনী নদীর নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় ফেনী। মধ্যযুগে কবি ও সাহিত্যিকদের কবিতা ও সাহিত্যে একটি বিশেষ নদীর স্রোদধা ও ফেনী পরাপারের ঘাট হিসেবে আমরা ফনী শব্দটি পাই। ষোড়শ শতাব্দীতে কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর পরাগলপুরের বর্ণনায় লিখেছেন, ‘ফনী নদীতে বেষ্টিত চারিধার, পূর্বে মহাগিরি পার পাই তার’। সতের শতকে মির্জা নাথানের ফার্সী ভাষায় রচিত ‘বাহরিস্থান-ই-গায়েরীতে’ ফনী শব্দ ফেনীতে পরিণত হয়। আটারো শতকের ষেষ ভাগে কবি আলী রেজা প্রকাশ কানু ফকির তাঁর পীরের বসতি হাজীগাঁওয়ের অবস্থান সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন, ‘ফেনীর দক্ষিণে এক বর উপাম, হাজীগাঁও করিছিল সেই দেশের নাম’। মোহাম্মদ মুকিম তাঁর পৈতৃক বসতির বর্ণনাকালে বলেছেন,”ফেনীর পশ্চিমভঅগে জুগিদিয়া দেশ…………….। বলাবাহুল্য তাঁরাও নদী অর্থে ফেনী শব্দ ব্যবহার করেছেন। মুসলমান কবি-সাহিত্যিকদের ভাষায় আদি শব্দ ‘ফনী’ ফেনীতে পরিণত হয়েছে।
৮. খাগড়াছড়ি জেলাঃ-
খাগড়াছড়ি একটি নদীর নাম। নদীর পাড়ে খাগড়া বন থাকায় খাগড়াছড়ি নামে পরিচিতি লাভ করে।
৯. লক্ষীপুর জেলাঃ- 
লক্ষীপুর জেলার নামকরণের সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাইনি, আপনাদের জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
১০. নোয়াখালী জেলাঃ-
নোয়াখালী জেলা প্রচীন নাম ছিল ভুলুয়া। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম ছিল সুধারাম। ইতিহাসবিদদের মতে, একবার ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর পানিতে ভুলুয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভয়াবহভঅবে প্লাবিত হয়ে ফসলি জমির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি করে।এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে ১৬৬০ সালে একটি বিশাল খাল খনন করা হয়, যা পানি প্রবাহকে ডাকাতিয়া নদী হতে রামগঞ্ঝ, সোইমুড়ী ও চৌমুহনী হয়ে মেঘনা এবং ফেনী নদীর দিকে প্রবাহিত করে। এই বিশাল খালকে নোয়াখালীর ভাষায় ‘নোয়া (নুতুন) খাল’ বলা হত এর ফলে ‘ভুলুয়া’ নামটি পরিবর্তিত হয়ে ১৬৬৮ সালে নোয়াখালী নামে পরিচিতি লাভ করে।
১১. রাঙ্গামাটি জেলাঃ- 
রাঙামাটি জেলা নামকরণ সম্পর্কে বিলু কবীরের লেখা ‘বাংলাদেশ জেলা : নামকরণের ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায় তা হলো- এই এলাকায় পর্বতরাজি গঠিত হয়েছিল টারশিয়রি যুগে। এই যুগের মাটির প্রধান ব্যতিক্রম এবং বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর রঙ লালচে বা রাঙা। এই এলাকার গিরিমৃত্তিকা লাল এবং মাটিও রাঙা বলেই এই জনপদের নাম হয়েছে রাঙামাটি। প্রকৃতি সূচক এই নামকরণটির বিষয়ে অন্য প্রচলিত কথাপরম্পরা হলো- বর্তমান রাঙামাটি জেলা সদরের পূর্বদিকে একটি ছড়া ছিল, যা এখন হ্রদের মধ্যে নিমজ্জিত। এই হ্রদের স্বচ্ছ পানি যখন লাল বা রাঙামাটির উপর দিয়ে ঢাল বেয়ে প্রপাত ঘটাতো, তখন তাকে লাল দেখাতো। তাই এই ছড়ার নাম হয়েছিল ‘রাঙামাটি’। এই জেলা সদরের পশ্চিমে আরও একটি ছাড়া ছিল। অনুরূপ কারণে তার নাম দেয়া হয়েছিল ‘রাঙাপানি’। এই দুই রাঙা ছড়ার মোহনার বাঁকেই গড়ে উঠেছে বর্তমান জেলা শহর। যা মূলত ছিল অনাবাদী টিলার সমষ্টি এবং বহু উপত্যকার এক নয়নাভিরাম বিস্ময়ভূমি। এই দুটি ছড়া রাঙামাটি ও রাঙাপানি হতে ‘রাঙামাটি’ জেলার নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ১৯৮৩ সালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা গঠন করা হয়।
৩। ঢাকা বিভাগঃ-
১. ঢাকা জেলাঃ-
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মোঘল-পূর্ব যুগে কিছু গুরুত্বধারন করলেও শহরটি ইতিহাসে প্রসিদ্ধি লাভ করে মোঘল যুগে। ঢাকা নামের উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট করে তেমন কিছু জানা যায় না। এ সম্পর্কে প্রচলিত মতগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপঃ ক) একসময় এ অঞ্চলে প্রচুর ঢাক গাছ (বুটি ফুডোসা) ছিল; খ) রাজধানী উদ্বোধনের দিনে ইসলাম খানের নির্দেশে এখানে ঢাক অর্থাৎ ড্রাম বাজানো হয়েছিল; গ) ‘ঢাকাভাষা’ নামে একটি প্রাকৃত ভাষা এখানে প্রচলিত ছিল; ঘ) রাজতরঙ্গিণী-তে ঢাক্কা শব্দটি ‘পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে অথবা এলাহাবাদ শিলালিপিতে উল্লেখিত সমুদ্রগুপ্তের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ডবাকই হলো ঢাকা।
কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাই রাজা মন্দিরের নাম ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।আবার অনেক ঐতিহাসিকদের মতে, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন, তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ শহরে ‘ঢাক’ বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্দির রূপ ধারণ করে এবং তা থেকেই এই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান চিশতি সুবাহ বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নামানুসারে এর নামকরণ করে জাহাঙ্গীরনগর।
২. ফরিদপুর জেলাঃ-
ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফী সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে।
৩. গাজীপুর জেলাঃ-
বিলু কবীরের লেখা ‘বাংলাদেশের জেলা : নামকরণের ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায়, মহম্মদ বিন তুঘলকের শাসনকালে জনৈক মুসলিম কুস্তিগির গাজী এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং তিনি বহুদিন সাফল্যের সঙ্গে এ অঞ্চল শাসন করেছিলেন। এ কুস্তিগির/পাহলোয়ান গাজীর নামানুসারেই এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর বলে লোকশ্রুতি রয়েছে। আরেকটি জনশ্রুতি এ রকম সম্রাট আকবরের সময় চবি্বশ পরগনার জায়গিরদার ছিলেন ঈশা খাঁ। এই ঈশা খাঁরই একজন অনুসারীর ছেলের নাম ছিল ফজল গাজী। যিনি ছিলেন ভাওয়াল রাজ্যের প্রথম ‘প্রধান’। তারই নাম বা নামের সঙ্গে যুক্ত ‘গাজী’ পদবি থেকে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর। গাজীপুর নামের আগে এ অঞ্চলের নাম ছিল জয়দেবপুর। এ জয়দেবপুর নামটি কেন হলো, কতদিন থাকল, কখন, কেন সেটা আর থাকল না_ সেটিও প্রাসঙ্গিক ও জ্ঞাতব্য। ভাওয়ালের জমিদার ছিলেন জয়দেব নারায়ণ রায় চৌধুরী। বসবাস করার জন্য এ জয়দেব নারায়ণ রায় চৌধুরী পীরাবাড়ি গ্রামে একটি গৃহ নির্মাণ করেছিলেন। গ্রামটি ছিল চিলাই নদীর দক্ষিণ পাড়ে। এ সময় ওই জমিদার নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে এ অঞ্চলটির নাম রাখেন ‘জয়দেবপুর’ এবং এ নামই বহাল ছিল মহকুমা হওয়ার আগ পর্যন্ত। যখন জয়দেবপুরকে মহকুমায় উন্নত করা হয়, তখনই এর নাম পাল্টে জয়দেবপুর রাখা হয়। উল্লেখ্য, এখনো অতীতকাতর-ঐতিহ্যমুখী স্থানীয়দের অনেকেই জেলাকে ‘জয়দেবপুর’ বলেই উল্লেখ করে থাকেন। গাজীপুর সদরের রেলওয়ে স্টেশনের নাম এখনো ‘জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন’। তবে বিস্তারিত আলোচনায় গেলে বলতেই হয়, গাজীপুরের আগের নাম জয়দেবপুর এবং তারও আগের নাম ভাওয়াল। গাজীপুরকে ১৯৮৪খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ জেলা এবং ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারী রোজ: সোমবার সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়।
৪. গোপালগঞ্জ জেলাঃ-
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস। অতীতের রাজগঞ্জ বাজার আজকের জেলা শহর গোপালগঞ্জ। আজ থেকে প্রায় শতাব্দীকাল পূর্বে শহর বলতে যা বুঝায় তার কিছুই এখানে ছিলোনা। এর পরিচিতি ছিলো শুধু একটি ছোট্ট বাজার হিসেবে। এঅঞ্চলটি মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদার রানী রাসমণির এলাকাধীন ছিলো। উল্লেখ্য রানী রাসমণি একজন জেলের মেয়ে ছিলেন। সিপাই মিউটিনির সময় তিনি একজন উচ্চ পদস্থ ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করেন। পরবর্তীতে তারই পুরস্কার হিসাবে বৃটিশ সরকার রাসমণিরকে মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদারী প্রদার করেন এবং তাঁকে রানী উপাধিতে ভূষিত করেন। রানী রাসমণির এক নাতির নাম ছিলো নব-গোপাল তিনি তাঁর স্নেহাস্পদ নাতির নাম এবং পুরানো ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নাতিন নামের ‘গোপাল’ অংশটি প্রথমে রেখে তার সাথে রাজগঞ্জের ‘গঞ্জ’ যোগ করে এ জাযগাটির নতুর নামকরণ করেন গোপালগঞ্জ। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর জেলার মহকুমা থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সৃষ্টি হয়।
৫. জামালপুর জেলাঃ-
সাধক দরবেশ হযরত শাহ জামাল (র) এর পূণ্যস্মৃতি বিজড়িত নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত গরো পাহাড়ের পাদদেশে যমুনা-ব্রক্ষ্মপুত্র বিধৌত বাংলাদেশের ২০-তম জেলা জামালপুর। হযরত শাহ জামাল (র) এর নামানুসারে জামালপুরের নামকরণ হয়।
৬. কিশোরগঞ্জ জেলাঃ-
১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে কিশোরগঞ্জ মহকুমার জন্ম হয়। মহকুমার প্রথম প্রশাসক ছিলেন মিঃ বকসেল। বর্তমান কিশোরগঞ্জ তৎকালীন জোয়ার হোসেনপুর পরগনার অন্তর্ভক্ত ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকেও কিশোরগঞ্জ এলাকা ‘কাটখালী’ নামে পরিচিত ছিল। ইতিহাসবিদদের ধারণা ও জনশ্রুতি মতে এ জেলার জমিদার ব্রজকিশোর মতান্তরে নন্দকিশোর প্রামানিকের ‘কিশোর’ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত হাট বা গঞ্জের ‘গঞ্জ’ যোগ করে কিশোরগঞ্জ নামকরণ করা হয়।
৭. মাদারীপুর জেলাঃ-
মাদারীপুর জেলা একটি ঐতিহাসিক সমৃদ্ধ জনপদ ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীতে সাধক হযরত বদরুদ্দিন শাহ মাদার (র) এর নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়। প্রাচীনকালে মাদারীপুরের নাম ছিল ইদিলপুর। ১৯৮৪ সালে মাদারীপুর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
৮. মানিকগঞ্জ জেলাঃ-
মূরত সংস্কৃত ‘মানিক্য’ শব্দ থেকে মানিক শব্দটি এসেছে। মানিক হচ্ছে চুনি পদ্মরাগ। গঞ্জ শব্দটি ফরাসী। মানিকগঞ্জের নামের ঋৎপত্তি ইতিহাস আজও রহস্যবৃত। অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে সুফি দরবেশ মানিক শাহ সিংগাইর উপজেলার মানিকনগরে আসেন এবং খানকা প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন।কারও মতে দূর্ধর্ষ পাঠান সর্দার মানিক ঢালীর নামানুসারে মানিকগঞ্জ নামের উৎপত্তি। আবার কারো মতে, নবাব সিরাজ উদ-দৌলার বিশাবাস ঘাতক মানিক চাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তার নমানুসারে ১৮৪৫ সালের মে মাসে মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ হয়। মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ সম্পর্কীত উল্লেখ্য তিনটি পৃথক স্থানীয় জনশ্রুতি এবং অনুমান নির্ভর। এর কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি, তবে মানিক শাহের নামানুসারে মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ সম্পর্কীত জনশ্রুতি এবং ঘটনা প্রবাহ থেকে যে চিত্র পাওয়া যায় তাই সঠিক বলে ধরা হয়।
৯. মুন্সীগঞ্জ জেলাঃ-
মুন্সিগঞ্জে প্রাচীন নাম ছিল ইদ্রাকপুর। মোঘল শাসনামলে এই ইদ্রাকপুর গ্রামে মুন্সী হায়দার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মোঘল শাসক দ্বারা ফৌজদার নিযুক্ত ছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন ও জনহিতৈষী মুন্সী হায়দার হোসেনের নামে ইদ্রাকপুরের নাম হয় মুন্সীগঞ্জ। কারো কারো মতে জমিদার এনায়েত আলী মুন্সীর নামানুসারে মুন্সীগঞ্জে নামকরণ করা হয়।
১০. ময়মনসিংহ জেলাঃ-
ময়মনসিংহ জেলার নাম নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ’র জন্য এ অঞ্চলে একটি নুতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই থেকে নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। সলিম যুগের উৎস হিসেবে নাসিরাবাদ, নাম আজও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোথাও নাসিরাবাদ কথাটি উল্লেখ্য করা হচ্ছে না। ১৭৭৯ সালে প্রকাশিত রেনেল এর ম্যাপে মোমেসিং নামটি ‘ময়মনসিংহ’ অঞ্চলকেই নির্দেশ করে। তার আগে আইন-ই-আকবরীতে ‘মিহমানশাহী’ এবং ‘মনমনিসিংহ’ সকার বাজুহার পরগনা হিসেবে লিখিত আছে। যা বর্তমান ময়মনসিংহকেই ধরা হয়।
১১. নারায়ণগঞ্জ জেলাঃ-
১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিকন লাল পান্ডে( বেণু ঠাকুর বা লক্ষীনায়ায়ণ ঠাকুর) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা গ্রহণ করে। তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি উইলের মাধ্যমে শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। তাই পরবর্তীকালে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ।
১২. নেত্রকোণা জেলাঃ- 
নেত্রকোণার নামকরণ হয়েছে নাটেরকোণা নামক গ্রামের নাম থেকে।
১৩. নরসিংদী জেলাঃ-
কথিত আছে, প্রাচীনকালে এ অঞ্চলটি নরসিংহ নামক একজন রাজার শাসনাধীন ছিল। আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে রাজা নরসিংহ প্রাচীন ব্যক্ষ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে নরসিংহপুর নামে একটি ছোট নগর স্থাপন করেছিলেনঅ তাঁরই নামানুসারে নরসিংদী নামটি আবির্ভূত হয়। নরসিংহ নামের সাথে ‘দী’ যুক্ত হয়ে নরসিংদী হয়েছে। নরসিংহদী শব্দের পরিবর্তিত রূপই “নরসিংদী”।
১৪. রাজবাড়ী জেলাঃ-
রাজা সূর্য্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ করা হয়। রাজা সূর্য্য কুমারের পিতামহ প্রভুরাম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার রাজকর্মী থাকাকালীন কোন কারণে ইংরেজদের বিরাগভাজন হলে পলাশীর যুদ্ধের পর লক্ষীকোলে এস আত্মগোপন করেন। পরে তাঁর পুত্র দ্বিগেন্দ্র প্রসাদ এ অঞ্চলে জমিদারী গড়ে তোলেন। তাঁরই পুত্র রাজা সূর্য্য কুমার ১৮৮৫ সালে জনহিতকর কাজের জন্য রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন। ১৯৮৪ সালে ১মার্চ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৫. শরীয়তপুর জেলাঃ-
বৃটিশ বিরোধী তথা ফরায়েজী আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর নামানুসারে শরীয়তপুরের নামকরণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে ১লা মার্চ শরীয়তপুর জেলা শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী জনাব নাজিম উদ্দিন হাসিম।
১৬. শেরপুর জেলাঃ-
বাংলার নবাবী আমলে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী দশ কাহনিয়া অঞ্চল দখল করে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন। এই শের আলী গাজীর নামে দশ কাহনিয়ার নাম হয় শেরপুর।

১৭. টাঙ্গাইল জেলাঃ-

টাঙ্গাইলের নামকরণ বিষয়ে রয়েছে বহুজনশ্রুতি ও নানা মতামত। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত রেনেল তাঁর মানচিত্রে এ সম্পূর্ণ অঞ্চলকেই আটিয়া বলে দেখিয়েছেন। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দের আগে টাঙ্গাইল নামে কোনো স্বতন্ত্র স্থানের পরিচয় পাওয়া যায় না। টাঙ্গাইল নামটি পরিচিতি লাভ করে ১৫ নভেম্বর ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে মহকুমা সদর দপ্তর আটিয়া থেকে টাঙ্গাইলে স্থানান্তরের সময় থেকে।
টাঙ্গাইলের ইতিহাস প্রণেতা খন্দকার আব্দুর রহিম সাহেবের মতে, ইংরেজ আমলে এদেশের লোকেরা উচু শব্দের পরিবর্তে ‘টান’ শব্দই ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল বেশি। এখনো টাঙ্গাইল অঞ্চলে ‘টান’ শব্দের প্রচলন আছে। এই টানের সাথে আইল শব্দটি যুক্ত হয়ে হয়েছিল টান আইল। আর সেই টান আইলটি রূপান্তরিত হয়েছে টাঙ্গাইলে। টাঙ্গাইলের নামকরণ নিয়ে আরো বিভিন্নজনে বিভিন্ন সময়ে নানা মত প্রকাশ করেছেন। কারো কারো মতে, বৃটিশ শাসনামলে মোগল প্রশাসন কেন্দ্র আটিয়াকে আশ্রয় করে যখন এই অঞ্চল জম-জমাট হয়ে উঠে। সে সময়ে ঘোড়ার গাড়িছিল যাতায়াতের একমাত্র বাহন, যাকে বর্তমান টাঙ্গাইলের স্থানীয় লোকেরা বলত ‘টাঙ্গা’। বর্তমান শতকের মাঝামাঝি পর্যন্তও এ অঞ্চলের টাঙ্গা গাড়ির চলাচল স্থল পথে সর্বত্র। আল শব্দটির কথা এ প্রসঙ্গে চলে আসে। বর্তমান টাঙ্গাইল অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের নামের সাথে এই আল শব্দটির যোগ লক্ষ্য করা যায়। আল শব্দটির অর্থ সম্ভবত সীমা নির্দেশক যার স্থানীয় উচ্চারণ আইল। একটি স্থানকে যে সীমানা দিয়ে বাঁধা হয় তাকেই আইল বলা হয়। টাঙ্গাওয়ালাদের বাসস্থানের সীমানাকে ‘টাঙ্গা+আইল’ এভাবে যোগ করে হয়েছে ‘টাঙ্গাইল’ এমতটি অনেকে পোষণ করেন। আইল শব্দটি কৃষিজমির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই শব্দটি আঞ্চলিক ভাবে বহুল ব্যবহৃত শব্দ। টাঙ্গাইলের ভূ-প্রকৃতি অনুসারে স্বাভাবিক ভাবে এর ভূমি উঁচু এবং ঢালু। স্থানীয়ভাবে যার সমার্থক শব্দ হলো টান। তাই এই ভূমিরূপের কারণেই এ অঞ্চলকে হয়তো পূর্বে ‘টান আইল’ বলা হতো। যা পরিবর্তীত হয়ে টাঙ্গাইল হয়েছে।
৪। খুলনা বিভাগঃ-
১. বাগেরহাট জেলাঃ-
সুন্দরবনে বাঘের বাস দাড়টানা ভৈরব পাশ সবুজ শ্যামলে ভরা নদী বাঁকে বসতো যে হাট তার নাম বাগের হাট।
এক সময় বাগেরহাটের নাম ছিল খলিফাতাবাদ বা প্রতিনিধির শহর। খানজাহান আলী (রঃ) গৌড়ের সুলতানদের প্রতিনিধি হিসেবে এ অঞ্চল শাসন করতেন। কেউ কেউ মনে করেন, বরিশালের শাসক আঘা বাকের এর নামানুসারে বাগেরহাট হয়েছে। কেউবা বলেন, পাঠান জায়গীদার বাকির খাঁ এর নামানুসারে বাগেরহাট হয়েছে। আবার কারো মতে, বাঘ শব্দ হতে বাগেরহাট নাম হয়েছে। জনশ্রুতি আছে খানজাহান আলী (রঃ) এর একটি বাগ(বাগান, ফার্সী শব্দ) বা বাগিচা ছিল। এ বাগ শব্দ হতে বাগেরহাট। কাো মতে, নদীর বাঁকে হাট বসতো বিধায় বাঁকেরহাট। বাঁকেরহাট হহতে বাগেরহাট।
২. চুয়াডাঙ্গা জেলাঃ-
চুয়াডাঙ্গার নামকরণ সম্পর্কে কথিত আছে যে, এখানকার মল্লিক বংশের আদিপুরুষ চুঙ্গো মল্লিকের নামে এ জায়গার নাম চুয়াডাঙ্গা হয়েছে। ১৭৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে চুঙ্গো মল্লিক তাঁর স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভারতের নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার সীমানার ইটেবাড়ি- মহারাজপুর গ্রাম থেকে মাথাভাঙ্গা নদীপথে এখানে এস প্রথম বসতি গড়েন। ১৭৯৭ সালের এক রেকর্ডে এ জায়গার নাম চুঙ্গোডাঙ্গা উল্লেখ রয়েছে। ফারসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার সময় উচ্চারণের বিকৃতির কারণে বর্তমান চুয়াডাঙ্গা নামটা এসেছে। চুয়াডাঙ্গা নামকরণের আরো দুটি সম্ভাব্য কারণ প্রচলিত আছে। চুয়া < চয়া চুয়াডাঙ্গা হয়েছে।
৩. যশোর জেলাঃ-
১৭৮১ সালে যশোর একটি পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এটিই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম জেলা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্বাধীন হওয়া জেলাটি যশোর। যশোর, সমতটের একটা প্রাচীন জনপদ। নামটি অতি পুরানো। যশোর নামের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। যশোর (জেসিনরে) আরবি শব্দ যার অর্থ সাকো। অনুমান করা হয় কসবা নামটি পীর খানজাহান আলীর দেওয়া (১৩৯৮ খৃঃ)। এককালে যশোরের সর্বত্র নদী নালায় পরিপূর্ণ ছিল। পূর্বে নদী বা খালের উপর সাকো নির্মিত হতো। খানজাহান আলী বাঁশের সাকো নির্মাণ করে ভৈরব নদী পার হয়ে মুড়লীতে আগমন করেন বলে জানা যায়। এই বাঁশের সাকো থেকে যশোর নামের উৎপত্তি। তবে এই মতে সমর্থকদের সংখ্যা খুবই কম। ইরান ও আরব সীমান্তে একটি স্থানের নাম যশোর যার সাথে এই যশোরের কোন সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। খানজাহান আলীর পূর্ব থেকেই এই যশোর নাম ছিল। অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, প্রতাপদিত্যের পতনের পর চাঁচড়ার রাজাদের যশোরের রাজা বলা হত। কেননা তারা যশোর রাজ প্রতাপাদিত্যের সম্পত্তির একাংশ পুরস্কার স্বরূপ অর্জন করেছিলেন। এই মতও সঠিক বলে মনে হয়। জে, ওয়েস্টল্যাণ্ড তাঁর যশোর প্রতিবেদনের ১৯৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, রাজা প্রতাপাদিত্য রায়ের আগে জেলা সদর কসবা মৌজার অর্ন্তভুক্ত ছিল। বনগাঁ-যশোর পিচের রাস্তা ১৮৬৬-১৮৬৮ কালপর্বে তৈরী হয়। যশোর-খুলনা ইতিহাসের ৭৬ পাতায় লেখা আছে “প্রতাপাদিত্যের আগে লিখিত কোন পুস্তকে যশোর লেখা নাই”। সময়ের বিবর্তনে নামের পরিবর্তন স্বাভাবিক।
৪. ঝিনাইদহ জেলাঃ-
প্রাচীনকালে বর্তমান ঝিনাইদহের উত্তর-পশ্চিম দিকে নবগঙ্গা নদীর ধারে ঝিনুক কুড়ানো শ্রমিকের বসতি গড়ে ওঠে বলে জানা যায। কলকাতা থেকে ব্যবসায়ীরা ঝিনুকের মুক্তা সঙগ্রহরের জন্য এখানে ঝিনুক কিনতে আসতো। সে সময় ঝিনুক প্রাপ্তির স্থানটিকে ঝিনুকদহ বলা হত। অনেকের মতে ঝিনুককে আঞ্চলিক ভাষায় ঝিনেই বা ঝিনাই বলে। দহ অর্থ বড় জলাশয়, দহ ফার্সী শব্দ যার অর্ত গ্রাম। সেই অর্থে ঝিনুক দহ বলতে ঝিনুকের জলাশয় অথবা ঝিনুকের গ্রাম। ঝিনুক এবং দহ থেকেই ঝিনুকদহ বা ঝিনেইদহ যা রূপান্তরিত হয়ে আজকের এই ঝিনাইদহ।
৫. খুলনা জেলাঃ-
হযরত পীর খানজাহান আলীর (র.) স্মৃতি বিজড়িত ও ভৈরব-রূপসা বিধৌত পৌর শহর খুলনার ইতিহাস নানাভাবে ঐতিহ্য মন্ডিত। খুলনা নামকরণের উৎপত্তি সম্বন্ধে নানান মত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত মতগুলো হলো : মৌজা ‘কিসমত খুলনা’ খুলনা খুলনা; ধনপতি সাওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুল্লনার নামে নির্মিত ‘খুল্লনেশ্বরী কালী মন্দির’ থেকে খুলনা; ১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারকৃত রেকর্ডে লিখিত Culnea শব্দ থেকে খুলনা। ইংরেজ আমলের মানচিত্রে লিখিত Jessore-Culna শব্দ থেকে খুলনা,- কোনটি সত্য তা গবেষকরা নির্ধারণ করবেন।
৬. কুষ্টিয়া জেলাঃ-
কুষ্টিয়া জেলার নামকরণ নিয়ে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে, কুষ্টিয়ায় এক সময় কোস্টার(পাট) চাষ হতো বলে কোস্ট শব্দ থেকে কুষ্টিয়ার উৎপত্তি। হেমিলটনের গেজেটিয়ারে উল্লেখ্য করেন যে, স্থানীয় জনগণ একে কুষ্টি বলে ডাকত। কুষ্টি থেকে কুষ্টিয়া নামকরণ হয়েছে। ১৯৮৪ সালে ৬ টি থানা নিয়ে কুষ্টিয়া জেলা গঠিত হয়।
৭. মাগুরা জেলাঃ-
আজকের যেখানে মাগুরা জেলা শহর গড়ে ওঠেছে প্রাচীনকাল থেকেই এর গুরুত্ব অত্যধিক ছিল। কখন থেকে মাগুরা নাম হয়েছে তার সঠিক হিসেব মিলানো কষ্টকর। মাগুরা প্রাচীন আমলের একটি গ্রাম। মাগুরা দু’টি অংশে বিভক্ত ছিল। মহকুমা সদরের পূর্বে মাগুরা ও পশ্চিমে ছিল দরি মাগুরা। দরি শব্দের অর্থ মাদুর বা সতরঞ্জি। দরি মাগুরায় মাদুর তৈরি সম্প্রদায়ের লোক বাস করতো বলে নাম হয়েছিল দরি মাগুরা। ধর্মদাস নামে জনৈক মগ আরাকান খেকে এসে আগুরা শহরের পূর্ভ কোণের সোজাসুজি গড়াই নদীর তীরে খুলুমবাড়ি মৌজা প্রভুতি দখল করে। লোকে তাকে মগ জায়গীর বলে আখ্যায়িত করেছিল। অনেকের মতে মগরা থেকে মাগুরা নামের উৎপত্তি। লোক মুখে শোনা যায় এককালে মাগুরা এলাকায় বড় বিল ছিল সেই বিলে পাওয়া যেতো প্রচুর মাগুর মাছ। এই মাগুর মাছের নাম থেকেও মাগুরা নামের উৎপত্তি হতে পারে। মাগুরা নামের উৎপত্তি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধে্য মতভেদ রয়েছে। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ মাগুরা মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়।
৮. মেহেরপুর জেলাঃ-
মেহেরপুর নামকরণ সম্পর্কে এ পর্যন্ত দুটি অনুমান ভিত্তিক তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথমটি ইসলাম প্রচারক মরবেশ মেহের আলী নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেহেরপুর রাখা হয়। দ্বিতীয়টি বচনকার মিহির ও তাঁর পুত্রবধু খনা এই শহরে বাস করতেন বলে প্রচলিত আছে। মিহিরের নাম থেকে মিহিরপুর এবং পরবর্তীতে তা মেহেরপুর হয়। ১৯৮৪ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারী মেহেরপুর জেলার মর্যাদা লাভ করে।
৯. নড়াইল জেলাঃ-
নড়াইল নামকরণ নিয়ে ঐতিহাসিকবিদরা ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেন। কিংবদন্তী আছে, নড়িয়াল ফকিরের আশীর্বাদপুষ্ট নড়ি থেকে নড়িয়াল নামের উৎপত্তি। নড়িয়াল ফকিরের আশীর্বাদপুষ্ট তাই নাম হয় নড়িয়াল। পরবর্তীতে লোকমুখে বিকৃত হয়ে নড়িয়াল থেকে নড়াইল।
১০. সাতক্ষীরা জেলাঃ-
সাতক্ষীরা জেলার আদি নাম ছিল সাতঘরিয়া। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় বিষ্ণুরাম চক্রবর্তী নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কর্মচারী হিসেবে ১৭৭২ সালে নিলামে এই পরগনা কিনে গ্রাম স্থাপন করেন। তাঁর পুত্র প্রাণনাথ চক্রবর্তী সাতঘর কুলীন ব্রাক্ষ্মণ এনে এই পরগনায় প্রতিষ্ঠিত করেন তা থেকে সাতঘরিয়া নাম হয়।
৫। রাজশাহী বিভাগঃ-
১. বগুড়া জেলাঃ-
১২৮১-১২৯০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লরি সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবনের ২য় পুত্র সুলতান নাসিরউদ্দীন বগরা খান বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। তাঁর নামানুসারে বগুড়া জেলার নামকরণ করা হয়েছে।
২. জয়পুরহাট জেলাঃ-
জয়পুরহাট গৌড় পাল ও সেন রাজার রাজত্ব ছিলো জয়পুরহাটে। ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে জানা যায় ধর্মপাল দীর্ঘদিন নওগাঁ ও জয়পুরহাট নিয়ে রাজত্ব করেন। তার অপরূপ দৃষ্টান্ত জয়পুরহাট সংলগ্ন বৌদ্ধ বিহার (পাহাড়পুর) নওগাঁ জেলার মধ্যে স্থাপন করে। ধর্মপালের পর তার দ্বিতীয় ভ্রাতৃদ্বয় দেবপাল রাজা হয়। দেব পালের পর তার পাল রাজ সম্রাজ্যের রাজা হয় জয়পাল। তবে ইতিহাসে জানা যায়নি জয়পালের সঙ্গে দেবপালের কি সম্পর্ক। এই জয়পাল রাজার নামেই জয়পুরহাট জেলার নাম জয়পুর নামকরণ করা হয় ১৮০০ সালের দিকে। তার পূর্বে এর নাম ছিলো গোপেন্দ্রগঞ্জ। ১৮৫৭ থেকে ১৮৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ১৮৮৪সালে জলপাইগুড়ি হতে কলকাতা পর্যন্ত ২৯৬ মাইল রেললাইন স্থাপন করা হয় এবং মালামাল রপ্তানির জন্য ৪-৭মাইল পর পর স্টেশন স্থাপন করা হয়। এই সময় ভারতবর্ষে পূর্বেই আরেকটা জয়পুর স্টেশন ছিলো যা এখনো রয়েছে তাই ভারত সরকার সে সময় জয়পুরের সঙ্গে হাট যুক্ত করে জয়পুরহাট স্টেশন নামকরন করে সেই অনুসারে জেলার নামকরণ জয়পুরহাট বলেই প্রচলিত হয় ও সরকারি রেজিস্টারেও যুক্ত হয়। হাট যুক্ত করার কারন হচ্ছে জয়পুরহাট স্টেশনের পাশেই ছিলো ছোট যমুনা যেখানে বসতো মূল বাজার এই বাজারকে বলা হতো যমুনার হাট। সুত্র (Äl-Âmïñ Hîrä)
৩. নওগাঁ জেলাঃ-
নওগাঁ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ‘নও'(নুতুন) ও ‘গাঁ (গ্রাম) শব্দ থেকে শব্দ দুটি ফরাসী। নওগাঁ শব্দের অর্থ হলো নুতুন গ্রাম। ১৯৮৪ সালে ১ মার্চ নওগাঁ ১১ টি উপজেলা নিয়ে জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
৪. নাটোর জেলাঃ
নাটোর জেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নারদ নদী কথিত আছে এই নদীর নাম থেকেই ‘নাটোর’ শব্দটির উৎপত্তি। ভাষা গবেষকদের মতে নাতোর হচ্ছে মুল শব্দ। উচ্চারণগত কারণে নাটোর হয়েছে। নাটোর অঞ্চল নিম্নমুখী হওয়ায় চলাচল করা ছিল প্রায় অসম্ভব। জনপদটির দুর্গমতা বোঝাতে বলা হত নাতোর। নাতোর অর্থ দুর্গম। আরেকটি জনশ্রুতি আছে জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতার আমোদ-প্রমোদের জন্য গড়ে উঠেছিল বাইজিবাড়ি, নটিপাড়া জাতীয় সংস্কৃতি। এই নটি পাড়া থেকে নাটোর শব্দটির উৎপদ্দি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। ১৯৮৪ সালে নাটোর পূর্ণাঙ্গ জেলা লাভ করে।
৫. নবাবগঞ্জ জেলাঃ- 
‘চাপাইনবাবগঞ্জ’ নামটি সাম্প্রতিকালের।এই এলাকা ‘নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল। চাঁপাইগঞ্জ নামকরণ সম্পর্কে জানা যায়, প্রাক-ব্রিটিশ আমলে এ অঞ্চল ছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের বিহারভূমি এবং এর অবস্থান ছিল বর্তমান সদর উপজেলার দাউদপুর মৌজায়। নবাবরা তাঁদের পাত্র-মিত্র ও পরিষদ নিয়ে এখানে শিকার করতে আসতেন বলে এ স্থানের নাম হয় নবাবগঞ্জ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামের ইতিবৃত্ত নবাব আমলে মহেশপুর গ্রামে চম্পাবতী মতান্তরে ‘চম্পারানী বা চম্পাবাঈ’ নামে এক সুন্দরী বাঈজী বাস করতেন। তাঁর নৃত্যের খ্যাতি আশেপাশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি নবাবের প্রিয়পাত্রী হয়ে ওঠেন। তাঁর নামানুসারে এই জায়গার নাম ‘চাঁপাই”। এ অঞ্চলে রাজা লখিন্দরের বাসভূমি ছিল। লখিন্দরের রাজধানীর নাম ছিল চম্পক। চম্পক নাম থেকেই চাঁপাই। ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি) ‘বাঙলা সাহিত্যের কথা’ গ্রন্থের প্রথম খন্ডে বর্ণিত লাউসেনের শত্রুরা জামুতিনগর দিয়ে গৌড়ে প্রবেশ করে। বর্তমান ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া পূর্বে জামুতিনগর নামে পরিচিত ছিল। এসবের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো গবেষক চাঁপাইকে বেহুলার শ্বশুরবাড়ি চম্পকনগর বলে স্থির করেছেন এবং মত দিয়েছেন যে, চম্পক নাম থেকেই চাঁপাই নামের উৎপত্তি।
৬. পাবনা জেলাঃ-
‘পাবনা’ নামকরণ নিয়ে কিংবদন্তির অন্ত নেই। এক কিংবদন্তি মতে গঙ্গার ‘পাবনী’ নামক পূর্বগামিনী ধারা হতে পাবনা নামের উৎপত্তি হয়েছে। অপর একটি সূত্রে জানা যায় ‘পাবন’ বা ‘পাবনা’ নামের একজন দস্যুর আড্ডাস্থলই এক সময় পাবনা নামে পরিচিতি লাভ করে। অপরদিকে কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, ‘পাবনা’ নাম এসেছে ‘পদুম্বা’ থেকে। কালক্রমে পদুম্বাই স্বরসঙ্গতি রক্ষা করতে গিয়ে বা শব্দগত অন্য ব্যুৎপত্তি হয়ে পাবনা হয়েছে। ‘পদুম্বা’ জনপদের প্রথম সাক্ষাৎ মিলে খ্রিষ্টীয় একাদশ শতকে পাল নৃপতি রামপালের শাসনকালে।
৭. রাজশাহী জেলাঃ-
এই জেলার নামকরণ নিয়ে প্রচুর মতপার্থক্য রয়েছে। তবে ঐতিহাসিক অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়র মতে রাজশাহী রাণী ভবানীর দেয়া নাম। অবশ্য মিঃ গ্রান্ট লিখেছেন যে, রাণী ভবানীর জমিদারীকেই রাজশাহী বলা হতো এবং এই চাকলার বন্দোবস্তের কালে রাজশাহী নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। পদ্মার উত্তরাঞ্চল বিস্তীর্ন এলাকা নিয়ে পাবনা পেরিয়ে ঢাকা পর্যন্ত এমনকি নদীয়া, যশোর, বর্ধমান, বীরভূম নিয়ে এই এলাকা রাজশাহী চাকলা নামে অভিহিত হয়। অনুমান করা হয় ‘রামপুর’ এবং ‘বোয়ালিয়া’ নামক দু’টি গ্রামের সমন্বয়ে রাজশাহী শহর গ’ড়ে উঠেছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ‘রামপুর-বোয়ালিয়া’ নামে অভিহিত হলেও পরবর্তীতে রাজশাহী নামটিই সর্ব সাধারণের নিকট সমধিক পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে আমরা যে রাজশাহী শহরের সঙ্গে পরিচিত, তার আরম্ভ ১৮২৫ সাল থেকে। রামপুর-বোয়ালিয়া শহরের নামকরণ রাজশাহী কী করে হলো তা নিয়ে বহু মতামত রয়েছে। রাজাশাহী শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দুটি ভিন্ন ভাষার একই অর্থবোধক দুটি শব্দের সংযোজন পরিলতি হয়। সংস্কৃত ‘রাজ’ ও ফারসি ‘শাহ’ এর বিশেষণ ‘শাহী’ শব্দযোগে ‘রাজশাহী’ শব্দের উদ্ভব, যার অর্থ একই অর্থাৎ রাজা বা রাজা-রাজকীয় বা বা বাদশাহ বা বাদশাহী। তবে বাংলা ভাষায় আমরা একই অর্থের অনেক শব্দ দু-বার উচ্চারণ করে থাকি। যেমন– শাক-সবজি, চালাক-চতুর, ভুল-ভ্রান্তি, ভুল-ত্র“টি, চাষ-আবাদ, জমি-জিরাত, ধার-দেনা, শিক্ষা-দীক্ষা, দীন-দুঃখী, ঘষা-মাজা, মান-সম্মান, দান-খয়রাত, পাহাড়-পর্বত, পাকা-পোক্ত, বিপদ-আপদ ইত্যাদি। ঠিক তেমনি করে অদ্ভূত ধরনের এই রাজশাহী শব্দের উদ্ভবও যে এভাবে ঘটে থাকতে পারে তা মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। এই নামকরণ নিয়ে অনেক কল্পকাহিনীও রয়েছে। সাধারণভাবে বলা হয় এই জেলায় বহু রাজা-জমিদারের বসবাস, এজন্য এ জেলার নাম হয়েছে রাজশাহী। কেউ বলেন রাজা গণেশের সময় (১৪১৪-১৪১৮) রাজশাহী নামের উদ্ভব। ১৯৮৪ সালে রাজশাহীর ৪টি মহকুমাকে নিয়ে রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর এবং নবাবগঞ্জ- এই চারটি স্বতন্ত্র জেলায় উন্নীত করা হয়।
৮. সিরাজগঞ্জ জেলাঃ-
বেলকুচি থানায় সিরাজউদ্দিন চৌধুরী নামক এক ভূস্বামী (জমিদার) ছিলেন। তিনি তাঁর নিজ মহালে একটি ‘গঞ্জ’ স্থাপন করেন। তাঁর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সিরাজগঞ্জ। কিন্তু এটা ততটা প্রসিদ্ধি লাভ করেনি। যমুনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে ক্রমে তা নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং ক্রমশঃ উত্তর দিকে সরে আসে। সে সময় সিরাজউদ্দীন চৌধুরী ১৮০৯ সালের দিকে খয়রাতি মহল রূপে জমিদারী সেরেস্তায় লিখিত ভুতের দিয়ার মৌজা নিলামে খরিদ করেন। তিনি এই স্থানটিকে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান স্থানরূপে বিশেষ সহায়ক মনে করেন। এমন সময় তাঁর নামে নামকরণকৃত সিরাজগঞ্জ স্থানটি পুনঃ নদীভাঙ্গণে বিলীণ হয়। তিনি ভুতের দিয়ার মৌজাকেই নতুনভাবে ‘সিরাজগঞ্জ’ নামে নামকরণ করেন। ফলে ভুতের দিয়ার মৌজাই ‘সিরাজগঞ্জ’ নামে স্থায়ী রূপ লাভ করে।
৬। রংপুর বিভাগ-
বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক পূণর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (National Implementation Committee for Administrative Reform:NICAR) ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি তারিখে রংপুরকে দেশের সপ্তম বিভাগ হিসেবে অনুমোদন দেয়। এর আগে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জুলাই তারিখে মন্ত্রীসভার বৈঠকে রংপুরকে বিভাগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে একটি কমিটি তৈরি করা হয় এবং কমিটি ২১ জুলাই তারিখে প্রতিবেদন জমা দেয়।
১. দিনাজপুর জেলাঃ-
জনশ্রুতি আছে জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর।
২. গাইবান্ধা জেলাঃ-
গাইবান্ধা নামকরণ সম্পর্কে কিংবদন্তী প্রচলিত আছ, প্রায় পাচ হাজার বছর আগে মৎস্য দেশের রাজা বিরাটের রাজধানী ছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগজ থানা এলাকায়। বিরাট রাজার গো-ধনের কোন তুলনা ছিল না। তার গাভীর সংখ্যা ছিল ষাট হাজার। মাঝে মাঝে ডাকাতরা এসে বিরাট রাজার গাভী লুণ্ঠন করে নিয়ে যেতো। সে জন্য বিরাট রাজা একটি বিশাল পতিত প্রান্তরে গো-শালা স্থাপন করেন। গো-শালাটি সুরক্ষিত এবং গাভীর খাদ্য ও পানির সংস্থান নিশ্চিত করতে। নদী তীরবর্তী ঘেসো জমিতে স্থাপন করা হয়। সেই নির্দিষ্ট স্থানে গাভীগুলোকে বেঁধে রাখা হতো। প্রচলিত কিংবদন্তী অনুসারে এই গাভী বেঁধে রাখার স্থান থেকে এতদঞ্চলের কথ্য ভাষা অনুসারে এলাকার নাম হয়েছে গাইবাঁধা এবং কালক্রমে তা গাইবান্ধা নামে পরিচিতি লাভ করে।
৩. কুড়িগ্রাম জেলাঃ-
কুড়িগ্রাম জনপদ বেশ প্রাচীন। কুড়িগ্রাম-এর নাম করণের সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি। অনেকে মনে করেন গণনা সংখ্যা কুড়ি থেকে কুড়িগ্রাম হয়েছে। কারো মতে কুড়িটি কলু পরিবার এর আদি বাসিন্দা ছিল। তাই এর নাম কুড়িগ্রাম। কেউ বা মনে করেন, রংগপুর রাজার অবকাশ যাপনের স্থান ছিল কুড়িগ্রাম। প্রচুর বন-জঙ্গল ও ফল মূলে পরিপূর্ণ ছিল এই এলাকা, তাই ফুলের কুড়ি থেকে এর নাম হয়েছে কুড়িগ্রাম।
১৮০৯ সালে ডাঃ বুকালন হ্যামিলটন তাঁর বিবরণীতে বলেছেন-Kuriganj of which the market place is called Balabari in a place of considerable trade (martins Eastern India)। মিঃ ভাস তাঁর রংপুরের বিবরণীতেও এ অঞ্চলকে কুড়িগঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কুড়িগঞ্জ নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে কেউ কিছুই বলেননি। ১৯৮৪ সালের ২৩ শে জানুয়ারী ‘‘কুড়িগ্রাম’’ মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়।
৪. লালমনিরহাট জেলাঃ-
লালমনিরহাট নামকরণ নিয়ে জনশ্রুতি আছে যে, বৃটিশ সরকারের আমলে বর্তমান লালমনিরহাট শহরের মধ্যে দিয়ে রেলপথ বসানোর সময় উল্লিখিত অঞ্চলের রেল শ্রমিকরা বন-জঙ্গল কাটতে গিয়ে জনৈক ব্যক্তি ’লালমনি’ পেয়েছিলেন। সেই লালমনি থেকেই পর্যায়ক্রমে লালমনিরহাট নামের উৎপত্তি হয়েছে। অন্য এক সূত্র থেকে জানা যায়, বিপ্লবী কৃষক নেতা নুরুলদীনের ঘনিষ্ঠ সাথী লালমনি নামে এক ধনাঢ্য মহিলা ছিলেন। যার নামানুসারে লালমনিরহাট নামকরণ করা হয়েছে।
৫. নীলফামারী জেলাঃ-
প্রায় দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে। ঊণবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই দুরাকুটি, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, টেঙ্গনমারী প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়। সে সময় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মধ্যে নীলফামারীতেই বেশি পরিমাণে শস্য উৎপাদিত মাটির ঊর্বরতার কারণে। সে কারণেই নীলকরদের ব্যাপক আগমন ঘটে এতদঅঞ্চলে। গড়ে ওঠে অসংখ্য নীল খামার। বর্তমান নীলফামারী শহরের তিন কিলোমিটার উত্তরে পুরাতন রেল স্টেশনের কাছেই ছিল একটি বড় নীলকুঠি। তাছাড়া বর্তমানে অফিসার্স ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত পুরাতন বাড়িটি ছিল একটি নীলকুঠি। ধারণা করা হয়, স্থানীয় কৃষকদের মুখে ‘নীল খামার’ রূপান্তরিত হয় ‘নীল খামারী’তে। আর এই নীলখামারীর অপভ্রংশ হিসেবে উদ্ভব হয় নীলফামারী নামের।
৬. পঞ্চগড় জেলাঃ-
“পঞ্চ” (পাঁচ) গড়ের সমাহার “পঞ্চগড়” নামটির অপভ্রমংশ “পঁচাগড়” দীর্ঘকাল এই জনপদে প্রচলিত ছিল। কিন্তু গোড়াতে এই অঞ্চলের নাম যে, ‘পঞ্চগড়ই’ ছিলো সে ব্যাপারে সন্দেহর কোন অবকাশ নেই। বস্তুত ভারতীয় উপমহাদেশে “পঞ্চ” শব্দটি বিভিন্ন স্থান নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যেমন- পঞ্চনদ, পঞ্চবটী, পঞ্চনগরী, পঞ্চগৌড় ইত্যাদি। “পঞ্চনগরীর” দূরত্ব পঞ্চগড় অঞ্চল থেকে বেশি দূরে নয়। পঞ্চগড় জেলায় বেশ কিছু গড় রয়েছে তাদের মাঝে উল্লেখ করার মত গড় হল ভিতরগড়, মিরগড়, রাজনগড়, হোসেনগড়, দেবনগড়। ‘পঞ্চ’ অর্থ পাঁচ, আর ‘গড়’ অর্থ বন বা জঙ্গল। ‘পঞ্চগড়’ নামটি এভাবেই এসেছে।
৭. রংপুর জেলাঃ- 
রংপুর নামকরণের ক্ষেত্রে লোকমুখে প্রচলিত আছে যে পূর্বের ‘রঙ্গপুর’ থেকেই কালক্রমে এই নামটি এসেছে। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে উপমহাদেশে ইংরেজরা নীলের চাষ শুরু করে। এই অঞ্চলে মাটি উর্বর হবার কারণে এখানে প্রচুর নীলের চাষ হত। সেই নীলকে স্থানীয় লোকজন রঙ্গ নামেই জানত। কালের বিবর্তনে সেই রঙ্গ থেকে রঙ্গপুর এবং তা থেকেই আজকের রংপুর। অপর একটি প্রচলিত ধারনা থেকে জানা যায় যে রংপুর জেলার পূর্বনাম রঙ্গপুর। প্রাগ জ্যোতিস্বর নরের পুত্র ভগদত্তের রঙ্গমহল এর নামকরন থেকে এই রঙ্গপুর নামটি আসে। রংপুর জেলার অপর নাম জঙ্গপুর । ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব থাকায় কেউ কেউ এই জেলাকে যমপুর বলেও ডাকত। তবে রংপুর জেলা সুদুর অতীত থেকে আন্দোলন প্রতিরোধের মূল ঘাঁটি ছিল। তাই জঙ্গপুর নামকেই রংপুরের আদি নাম হিসেবে ধরা হয়। জঙ্গ অর্থ যুদ্ধ, পুর অর্থ নগর বা শহর। গ্রাম থেকে আগত মানুষ প্রায়ই ইংরেজদের অত্যাচারে নিহত হত বা ম্যালেরিয়ায় মারা যেত। তাই সাধারণ মানুষ শহরে আসতে ভয় পেত। সুদুর অতীতে রংপুর জেলা যে রণভূমি ছিল তা সন্দেহাতীত ভাবেই বলা যায়। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগে এ জেলায় কৃষক আন্দোলন যে ভাবে বিকাশ লাভ করে ছিল তার কারণে রংপুরকে লাল রংপুর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

৮. ঠাকুরগাঁও জেলাঃ-

ঠাকুরগাঁও এর আদি নাম ছিল নিশ্চিন্তপুর। ঠাকুরগাঁওয়ের নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে আর যা পাওয়া গেছে তাহলো, বর্তমানে যেটি জেলা সদর অর্থাৎ যেখানে জেলার অফিস-আদালত অবস্থিত সেখান থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে আকচা ইউনিয়নের একটি মৌজায় নারায়ণ চক্রবর্তী ও সতীশ চক্রবর্তী নামে দুই ভাই বসবাস করতেন। সম্পদ ও প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে তারা সেই এলাকায় খুব পরিচিত ছিলেন। সেখানকার লোকজন সেই চক্রবর্তী বাড়িকে ঠাকুরবাড়ি বলতেন। পরে স্থানীয় লোকজন এই জায়গাকে ঠাকুরবাড়ি থেকে ঠাকুরগাঁও বলতে শুরু করে। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১লা ফেব্রুয়ারী ৫টি থানা নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

৭। সিলেট বিভাগঃ-
১. হবিগঞ্জ জেলাঃ-
সুফি-সাধক হযরত শাহজালাল (রঃ) এর অনুসারী হযরত সৈয়দ নাসির উদ্দীন (রঃ) এর পূর্ণস্মৃতি বিজড়ি খোয়াই, কারাঙ্গী, বিজনা, রত্না প্রভৃতি নদী বিধৌত হবিগঞ্জ একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন জনপদ। ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবেলীর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সুলতানের অধঃস্তন পুরুষ সৈয়দ হেদায়েত উল্লাহর পুত্র সৈয়দ হাবীব উল্লাহ খোয়াই নদীর তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নামানুসরে হবিগঞ্জ নামকরণ করা হয়। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ হবিগঞ্জ জেলায় উন্নীত হয়।
২. মেীলভীবাজার জেলাঃ-
হয়রত শাহ মোস্তফা (র:) এর বংশধর মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি মনু নদীর উত্তর তীরে কয়েকটি দোকানঘর স্থাপন করে ভোজ্যসামগ্রী ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেন। মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ প্রতিষ্ঠিত এ বাজারে নৌ ও স্থলপথে প্রতিদিন লোকসমাগম বৃদ্ধি পেতে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমের মাধ্যমে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে মৌলভীবাজারের খ্যাতি। মৌলভী সাহেবের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরুপ এই অঞ্চলের নাম হয় মৌলভীবাজার। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ২২শে ফেব্রুয়ারী মৌলভীবাজার মহকুমাটি জেলায় উন্নীত হয়।
৩. সুনামগঞ্জ জেলাঃ-
‘সুনামদি’ নামক জনৈক মোগল সিপাহীর নামানুসারে সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ‘সুনামদি’ (সুনাম উদ্দিনের আঞ্চলিক রূপ) নামক উক্ত মোগল সৈন্যের কোন এক যুদ্ধে বীরোচিত কৃতিত্বের জন্য সম্রাট কর্তৃক সুনামদিকে এখানে কিছু ভূমি পুরস্কার হিসাবে দান করা হয়। তাঁর দানস্বরূপ প্রাপ্ত ভূমিতে তাঁরই নামে সুনামগঞ্জ বাজারটি স্থাপিত হয়েছিল। এভাবে সুনামগঞ্জ নামের ও স্থানের উৎপত্তি হয়েছিল বলে মনে করা হয়ে থাকে।
৪. সিলেট জেলাঃ-
প্রাচীন গ্রন্থাদিতে এ অঞ্চলকে বিভিন্ন নামের উল্লেখ্য আছে। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে শিবের স্ত্রী সতি দেবীর কাটা হস্ত (হাত) এই অঞ্চলে পড়েছিল, যার ফলে ‘শ্রী হস্ত’ হতে শ্রীহট্ট নামের উৎপত্তি বলে হিন্দু সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের ঐতিহাসিক এরিয়ান লিখিত বিবরণীতে এই অঞ্চলের নাম “সিরিওট” বলে উল্লেখ আছে। এছাড়া, খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকে এলিয়েনের (Ailien) বিবরণে “সিরটে”, এবং পেরিপ্লাস অব দ্যা এরিথ্রিয়ান সী নামক গ্রন্থে এ অঞ্চলের নাম “সিরটে” এবং “সিসটে” এই দুইভাবে লিখিত হয়েছে। অতঃপর ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে যখন চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এই অঞ্চল ভ্রমণ করেন। তিনি তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে এ অঞ্চলের নাম “শিলিচতল” উল্লেখ করেছেন তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজী দ্বারা বঙ্গবিজয়ের মধ্য দিয়ে এদেশে মুসলিম সমাজব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটলে মুসলিম শাসকগণ তাঁদের দলিলপত্রে “শ্রীহট্ট” নামের পরিবর্তে “সিলাহেট”, “সিলহেট” ইত্যাদি নাম লিখেছেন বলে ইতিহাসে প্রমাণ মিলে। আর এভাবেই শ্রীহট্ট থেকে রূপান্তর হতে হতে একসময় সিলেট নামটি প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন।
এছাড়াও বলা হয়, এক সময় সিলেট জেলায় এক ধনী ব্যক্তির একটি কন্যা ছিল। তার নাম ছিল শিলা। ব্যক্তিটি তার কন্যার স্মৃতি রক্ষার্থে একটি হাট নির্মাণ করেন এবং এর নামকরণ করেন শিলার হাট। এই শিলার হাট নামটি নানাভাবে বিকৃত হয়ে সিলেট নামের উৎপত্তি হয়। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ১ আগষ্ট সিলেট দেশের ষষ্ঠ বিভাগ হিসাবে মর্যাদা পায়।
তথ্য সূত্রঃ-জেলা তথ্য বাতায়ন,বাংলা পিডিয়া, উইকিপিডিয়া, পাঠকের মন্তব্য এবং  বিবিধ সূত্র হতে থেকে ।